প্রতিনিধি
আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর সাথে যুক্ত করার জন্যে দেশে আসছে নতুন কোচ ও ইঞ্জিন। সেই সাথে চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রেলপথে আসছে অত্যাধুনিক মানের নতুন ট্রেন। এই ট্রেনের রং থাকবে জাতীয় পতাকার আদলে লাল আর সবুজ। চলিত বছরের মাঝামাঝি এগুলো দেশে আসবে বলে রেলের দায়িত্বশীল কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। চাঁদপুর-লাকসাম লোকাল ট্রেন, সাগরিকা, চাঁদপুর-কুমিল্লা ডেম্যু ট্রেন আর চাঁদপুর-চট্টগ্রামে চলাচলকারী আন্তঃনগর মেঘনার পাশাপাশি নতুন আসা ট্রেনগুলো চাঁদপুর-চট্টগ্রামে যাতায়াত করবে।
রেলের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে ভারত ও ইন্দোনেশিয়া থেকে একেবারে নতুন ইঞ্জিনসহ প্রায় ২শ’ ৭০টি বগি (কোচ) দেশে আসছে। এর মধ্যে অধিকাংশ ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে চলাচল করলেও এর মধ্য থেকেই চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রেলপথে নতুন ট্রেন যুক্ত করবে রেল কর্তৃপক্ষ।
রেল ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে ১৫টি কোচের একটি নতুন ট্রেন যুক্ত হবে। তবে এ সিদ্ধান্ত প্রাথমিক পরিকল্পনাতে রয়েছে। দেশে নতুন আসা ২৭০টি বগি বাংলাদেশ রেলওয়ে পেলে নতুন এসব ট্রেনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যাবে বলে জানান রেলওয়ের কর্মকর্তাগণ।
বর্তমানে চলাচলকারী আন্তঃনগর ট্রেন মেঘনার চেয়ে এ ট্রেনটি হবে আধুনিক মানের। ট্রেনটির সব বগিই থাকবে নতুন। এ ট্রেনের আসন, দরজা, জানালা ও টয়লেট কিছুটা চওড়া হবে। যাত্রীদের সুবিধার্থে জানালার গ্লাসগুলো অত্যাধুনিক মানের হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) মোঃ আমজাদ হোসেন জানান, চলতি বছরের বিভিন্ন সময়ে ২৭০টি কোচ আসবে দেশে। এসব কোচ বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনে যুক্ত করা হবে।
উল্লেখ্য, চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রেলপথে চলাচলকারী একমাত্র আন্তঃনগর মেঘনা বর্তমানে প্রতিদিন ১বার করে যাওয়া আসা করে। বছরের পুরোটা সময় ট্রেনটি যাত্রীতে কানায় কানায় পূর্ণ থাকে। বিশেষ করে ঈদের সময় মেঘনার টিকেট সোনার হরিণ হয়ে পড়ে এই রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের জন্যে। চাঁদপুরবাসীসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সহজ যোগাযোগের একমাত্র পথ হচ্ছে চাঁদপুর-লাকসাম-চট্টগ্রাম রেলপথ। আর নতুন ট্রেন এই রুটে চালু হলে যাত্রীদের দুর্দশা অনেক কমে যাবে বলে মনে করেন এই রুটে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ।
বর্তমান সরকারের সময়ে সম্প্রতি চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথ সংস্কার ও স্টেশনগুলো রি-মডেলিং করা হয়। এ কাজ করতে গিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা নতুন রেললাইন বসানো, ব্রিটিশ সময়ের দেয়া লোহার সস্নিপার সরিয়ে চীন থেকে আমদানি করা অত্যাধুনিক মানের সিমেন্টের সস্নিপার সংযোজন আর নতুন পাথর ফেলা হয়েছে। এমনকি অধিকাংশ স্টেশন সম্পূর্ণরূপে নতুনভাবে করা হয়েছে। তাই নতুন ট্রেন যুক্ত করা না হলে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হবে বলে মনে করেন এ রূটের অধিকাংশ যাত্রী সাধারণ।