রফিকুল ইসলাম বাবু ॥
চাঁদপুর পৌর ১২ নং ওয়ার্ড চর গুনরাজদীতে (বালু আটকে রাখার জন্য তৈরী) রিং বাঁধের কাজ করতে দেরিতে আসা নিয়ে দুই পক্ষের শ্রমিকের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছে। বুধবার (১৬ আগষ্ট) দুপুরে ঐ এলাকার টেম্পু ঘাট সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনাটি ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের লোকজন বসতঘর ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করা হয় বলে ভুক্তভোগীরা জানায়। আহতরা হলেন- চর গুনরাজদী এলাকার তসিলদার বাড়ির মালেক তসিলদার (৬০), তার ভাতিজা শরীফ তসিলদার (২৫) ও রুপক তসিলদার (২০)। অপর পক্ষ পাটওয়ারী বাড়ির জয়নাল আবেদীন পাটওয়ারী (১০০), তার ছেলে নান্টু পাটওয়ারী (৫০), তার স্ত্রী শিল্পী বেগম (৩৫), অপর ছেলে দুলাল পাটওয়ারী (৫৫), তার মেয়ে পপি বেগম (২৫), ছেলে মিন্টু পাটওয়ারী (৩২), ছেলের স্ত্রী হাজেরা বেগম (২৮), ভাগ্নি জামাই মহসীন (৩৮)। সংর্ঘষের ঘটনার পর উভয় পক্ষের লোকজন কে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। খালেক তসিলদার তার ভাতিজা শরীফ তসিলদার ও রুপক তসিলদার এবং প্রতিপক্ষের নান্টু পাটওয়ারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অন্যান্য আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নেন বলে আহতরা জানায়।এ খবর শুনে বিকেলে চাঁদপুর মডেল থানার এস আই (উপ-পরিদর্শক) কামরুজ্জামান সংঙ্গীয় র্ফোস নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আহত দুলাল পাটওয়ারী জানায়, আমার ছেলে মিন্টু রিং বাঁধে আলমগীর তসিলদারের কাজ করতে সকালে বাড়ি থেকে বের হয়। সেখানে মিন্টুসহ অন্যান্যরা কাজ করতে দেরিতে আসায় শরীফ তসিলদার ও রুপক তসিলদারসহ কয়েকজন তাদেরকে মারধর করে। পরে তারা লোকজন নিয়ে এসে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও কয়েকটি বাড়ি ভাংচুর করে আমাদের পরিবারের লোকজন কে মারধর করে চলে যায়। প্রতিপক্ষ আহত মালেক তসিলদার জানায়, আমি ঘটনাটি শুনে বিষয়টি জানার জন্য তাদেরকে কাছে গেলে। নান্টু দৌড়ে এসে আমাকে মাছ ধরার টেটা দিয়ে পায়ের উপরের অংশে এবং মিন্টু দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে। পরে আমার চিৎকারে ভাতিজা শরীফ ও রুপক এগিয়ে আসলে তাদের মাথায় ও হাতে আঘাত করে।