শাহরিয়ার খান কৌশিক,
চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২ নং চান্দ্রা ইউনিয়নের স্বনামধন্য কাপড় ব্যবসায়ী ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য জহির মিজীকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রাস্তায় আটকে মারধোর করে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। চান্দ্রা ইউনিয়নের বহু মামলার আসামী সদ্য জেল থেকে মুক্তি পাওয়া জামাল মিজী ১০ জন সন্ত্রাসী নিয়ে অতর্কিতভাবে কাপড় ব্যবসায়ী জহির মিজীর উপর হামলা চালিয়ে ইয়াবা দিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর মাধ্যমে আটক করিয়েছেন। শনিবার সকালে জহির মিজি বাড়ি থেকে বের হয়ে আসার পথে বিল্লাল খানের মাছের হ্যাচারির সামনে রাস্তার উপর এই নাটকীয় ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থলে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী জহির মিজীর ছোট ভাই জাহিদসহ কয়েকজন পথচারীরা মাদক সম্রাট জামালকে ধরে ফেলে। এ সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা ঘটনাটি ঘোলাটে দেখে মাদকসম্রাট জামালকে ছাড়িয়ে দিয়ে তাৎক্ষণিক কাপড় ব্যবসায়ী জহির মিজীকে গাড়িতে জোর করে উঠিয়ে তাদের কার্যালয়ে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী জাহিদ সহ বেশ কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, তিন মাস পূর্বে চান্দা চৌরাস্তা থেকে মাদকসম্রাট বহু মামলার আসামি জামাল মিজিকে প্রায় সাড়ে ৩০০ পিস ইয়াবাসহ প্রকাশ্যে শত শত মানুষের উপস্থিতিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সদস্যরা আটক করে নিয়ে যায়। এ সময় জামাল মিজী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে জহিরকে সন্দেহ করে এবং তার স্ত্রীকে দিয়ে মিথ্যা মারামারি মামলা আদালতে দায়ের করেন। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে এসে পুরো ঘটনাটি চক্রান্ত বলে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করে। গত তিন দিন পূর্বে মাদকসম্রাট জামাল মিজী জেল থেকে বেরিয়ে এসে জহির মিজীকে সন্দেহ করে তাকে মাদক দিয়ে পাঠানোর পরিকল্পনা করে। শনিবার সকালে জহির বাড়ি থেকে বের হয়ে চৌরাস্তা আসার পথে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে জামাল সহ তারা ১০ জন জহিরকে ঘেরাও দিয়ে ধরে মারধর শুরু করে। এ সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর সদস্যরা তাদের ইশারায় ঘটনাস্থলে এসে জহিরকে ধরে এবং মাদকসম্রাট জামালের হাত থেকে ইয়াবার প্যাকেট নেয়। জামাল জহিরের কাছ থেকে ইয়াবা নিয়েছে এই মিথ্যা বানোয়াট কথা বলার পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সদস্যরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে জহিরকে আটক করে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এসময় মাদকসম্রাট জামালকে ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন তাকে হলেও পরবর্তীতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর সদস্যরা তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দিদারুল আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে বিকাশের ব্যবসায়ী স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে জহির মিজীকে ইয়াবাসহ আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এদিকে একজন কাপড় ব্যবসায়ী জহির মিজীকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর সদস্যরা পরিকল্পিত ও অন্যায় ভাবে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে আটক করায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অতি দ্রুত এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন সহ দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।