মিজান লিটন=
আগামী শুক্রবার সকাল ১০টা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক্-প্রাথমিক পরীক্ষায় সারাদেশে অংশ গ্রহণ করতে যাচ্ছে। ৯ লক্ষ ৬৮ হাজার ১শ’ ২৭ জন চাকুরি প্রত্যাশী পরীক্ষার্থী। এ পরীক্ষা এক যোগে ৩শ’ ৬২টি কেন্দ্রে এক ঘণ্টা ২০ মিনিট সময় নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে পূর্বের নিয়োগ পরীক্ষার তুলনায় এবারই সর্বপ্রথম চাঁদপুর জেলায় চাকুরি প্রত্যাশীদেরকে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সাথে দেখা করে যে কোন মূল্যে সুবিধা নেয়ার জন্য ছুটা-ছুটি করতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চাঁদপুর শহরের কয়েকটি কেন্দ্রের অনেক শিক্ষকই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন। চাকুরি প্রত্যাশী পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বেশির ভাগ প্রতিযোগীকে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ না করে অবৈধ পন্থায় পরীক্ষা দিতে বিভিন্নকেন্দ্রে দৌড়-ঝাঁপ দিচ্ছে। বিষয়টি দুঃখজনক ঠিক একই রকম চিত্র ফুটে উঠেছে মতলবের কেন্দ্র গুলোতেও। অপরদিকে হাজীগঞ্জের কেন্দ্র গুলোতে সবচেয়ে বেশি দৌড়-ঝাঁপের হিড়িক চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সব কেন্দ্রের কয়েকজন শিক্ষকের সাথে আলাপ কালে জানা যায়, চাকুরি প্রত্যাশী প্রতিযোগীদের অনাকাঙ্খিত প্রস্তাবে তাদেরকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছে। আবার অনেকেই এ ধনের সুযোগের টুপ গিলে বসে আছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কয়েকজনের সাথে আলাপ কালে জানাযায়, এ ধরনের অনাকাঙ্খিত প্রস্তাবকে নাকোচ করে দেওয়া হয়েছে। তবে অনেকে এসে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন উপায়ে সুযোগ নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে স্বীকার করেন। এ অবস্থায় চাকুরি প্রত্যাশী মেধাবী গরীব প্রতিযোগী হতাশ হয়ে চাঁদপুর বার্র্তা প্রত্রিকার মাধ্যমে মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয়ের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। যাতে করে চাঁদপুর জেলার প্রাক্ -প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষার সব কয়েকটি কেন্দ্রে কেউ যেন বে-আইনী সুযোগ গ্রহণ করতে না পারে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয় যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিবেন এমনটাই আশা করেন মেধাবী চাকুরি প্রত্যাশী পরীক্ষার্থীবৃন্দ।
এ প্রসংঙ্গে কেন্দ্র সচিবদের সাথে যোাগাযোগ করা হলে তাদের কাছ থেকে কোন সদোত্তর পাওয়া যায় নি।
শিরোনাম:
মঙ্গলবার , ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।