চাঁদপুর জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অন্যান্য সময়ের তুলনায় এখন বেড়েই চলছে। এক সপ্তাহে রোগী শনাক্তের হার প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। গত ছয়দিনে প্রাপ্ত রিপোর্ট হিসেবে শতকরা হারে রোগী শনাক্ত ২২.৪৪ ভাগ। আর এ পর্যন্ত জেলায় সর্বমোট রিপোর্ট প্রাপ্তি হিসেবে শনাক্তের হার ১২.০৮ ভাগ। এ চিত্রই বলে দিচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা কীভাবে বাড়ছে। এ ভাইরাস শনাক্তের জন্য নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা যত বাড়বে, শনাক্তের হারও তত বাড়বে এটাই প্রতীয়মান হচ্ছে।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত চাঁদপুর জেলা থেকে মোট স্যাম্পল পাঠানো হয়েছে ১ হাজার ৬শ’ ৯৯ জনের। এর মধ্যে রিপোর্ট এসেছে ১ হাজার ৩শ’ ৭৪ জনের। রিপোর্ট অপেক্ষমান আছে ৩২৫ জনের। প্রাপ্ত রিপোর্টের মধ্যে এ পর্যন্ত ১৬৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। প্রাপ্ত রিপোর্ট এবং পজিটিভ রিপোর্টের শতকরা হার হচ্ছে ১২.০৮%। এদিকে পজিটিভ রোগীদের মধ্যে মারা গেছে এ পর্যন্ত ১৩জন। এর শতকরা হার হচ্ছে ৭.৮৩%। তবে মারা যাওয়া রোগীদের মধ্যে অধিকাংশই এ ভাইরাসটি শনাক্ত হওয়ার আগেই মৃত্যুবরণ করেন। করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওযায় পরে তাদের স্যাম্পল পরীক্ষা করে ভাইরাস শনাক্ত করা হয়। এদিকে গতকাল পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩৪ জন। বাদবাকী ১১৯জন রোগী হাসপাতালের আইসোলেশন এবং হোম কোয়ারেন্টাইনে চিকিৎসাধীন আছেন।
প্রাপ্ত রিপোর্ট সূত্রে এবং চাঁদপুর সদর ইউএইচএফপিও ডাঃ সাজেদা বেগম পলিন জানান, জেলায় মোট আক্রান্তের মধ্যে সদর উপজেলায় ৯১ জন। এর সংখ্যার মধ্যে পৌর এলাকায়ই হচ্ছে ৮৪ জন। আর বাদ বাকি ৭ জন হচ্ছে রামপুর ও লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে।
গতকাল শুক্রবার রিপোর্ট আসে ৩৬ জনের। এর মধ্যে পজিটিভ আসে ৭ জনের। এই সাতজন হচ্ছে- সদর উপজেলায় ৫, শাহরাস্তি ১ ও হাজীগঞ্জে ১ জন। সদর উপজেলার ৫ জনের মধ্যে একজন রামপুর ইউনিয়নের মনিহার গ্রামের। অপর ৪ জন হচ্ছে চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া, জাফরাবাদ, মমিনপাড়া ও বাবুরহাট শিলন্দিয়া এলাকার।