শরীফুল ইসলাম ॥
চাঁদপুর জেলায় গত ৬ দিনে ৭ টি খুনের ঘটনা রয়েছে। আর এই খুনের মধ্যে-স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে স্বাশরোধ করে খুন, ভাই দ্বারা বোন খুন, ভাতিজা কর্তৃক চাচা খুন, স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে ফাসিতে ঝুলিয়ে খুন। গত ২৯ জুলাই থেকে শুরু হয়ে ৪ আগস্ট পর্যন্ত এই ৬ দিনে চাঁদপুর জেলায় ৭ টি খুনের গটনা ঘটেছে। তার মধ্যে চাঁদপুর সদরে ৩ টি খুন, কচুয়ায় ১ টি খুন, হাজীগঞ্জে ১ টি এবং মতলব উত্তরে ২ টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। গত ২৯ জুলাই পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন মতলব উত্তর উপজেলায় ফরাজিকান্দি ইউনিয়নে মাঠে ঈদের নামাজ পড়ানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্সে রফিকুল ইসলাম মোল্লা (৩০) নিহত হয়। অপর খুনের ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩১ জুলাই মতলব উত্তরের ইসলামাবাদ ইউনিয়নের তিতারকান্দি নাগপাড়া কালি মন্দিরের পাশ থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় লক্ষিন্দর (৩০) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। অপরদিকে একই দিনে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাঘরাবাজার এলাকার প্রেমিক স্বামী তার স্ত্রী স্বপ্না আক্তার (১৮) কে বেড়ানোর নাম করে এনে গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করা হয়। অপর খুনের ঘটনাটি ঘটে কচুয়া উপজেলায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের রাতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাতিজা তার ধলবল সহ দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার চাচা অলিউল্লা মৃধার উপর হামলা চালালে ঘটনাস্থলে মারা যায়। অন্যদিকে ইদের দিন বিকেলে হাজীগঞ্জ উপজেলার গব্ধ্যর্বপুর ইউনিয়নের তারালিয়া গ্রামে পাখি ড্রেসকে কেন্দ করে বড় ভাই তার ছোট বোন বিউটি আক্তার (১৮) কে মারধর করলে ঘটনাস্থলে বিউটি মারা যায়। আরেক ঘটনাটি ঘটে গত ২ আগস্ট চাঁদপুর শহরের ওয়্যারলেস এলাকায় সম্পত্তিগত বিরোধে চাচা আবুল বাসার (৬০) এর সাথে তার ভাতিজা তারেকের সাথে হাতাহাতি হলে তারেক তার চাচাকে জোরে দাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে মারা যায় আবুল বাশার। খুনের সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটে চাঁদপুর শহরের প্রফেসর পাড়ার রহিম খাঁর কলোনিতে, কিস্তির টাকাকে কেন্দ করে স্বামী আজাদ (৩৫) তার স্ত্রী নাজমা বেগম (২৫) কে বেধম মারধর করে গলায় ওড়না পেচিয়ে বাসের পালার সাথে ঝুলিয়ে খুন করে আজাদ। পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার লোকজন আজাদকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২৫ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।