স্টাফ রিপোর্টার: চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারীর দৃষ্টান্ত স্থাপন। গৃহহীন অন্ধ নাজমাকে তার নিজ খরচে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিলেন।
চাঁদপুর সদর উপজেলাধীন ১০নং লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড শ্রীরামপুর গন কবরের পাশেই এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে দীর্ঘ বছর যাবত মানবেতর জীবন যাপন করে আসছেন গৃহহীন নাজমা বেগম। অসহায় কুলু মাঝির মেয়ে নাজমা বেগম বিয়ের পর কয়েক বছর সংসার করে আসছিলেন।
অভাব-অনটনের কারণে প্রায় ১৫ বছর আগে তার স্বামী তাকে ডিভোর্স দিয়ে দেয়। এরপর থেকেই নাজমা বেগম শারীরিক এবং মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ১ ছেলে ও ১ মেয়ের খাবার যোগাতে বেছে নেন ভিক্ষা পথ। পৈত্রিক ভিটায় ছোট একটি কুঁড়েঘরে দুই সন্তান নিয়ে মানবতার জীবনযাপন করে আসছেন নাজমা বেগম। তার এই মানবেতর জীবনযাপনের বিষয়টি প্রথমে নজরে আসে চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক ও লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ শফিকুর রহমান গাজী। তিনি এই বিষয়টি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল কে অবহিত করেন এবং গৃহহীন নাজমা ও তাদের সন্তানদেরকে তার কাছে নিয়ে যান। তাদের অসহায়ত্বের কথা শুনে আবু নঈম দুলাল পাটোয়ারী তার ব্যক্তিগত অর্থায়নে তাৎক্ষণিক তাদেরকে একটি সম্পূর্ণ নতুন ঘর তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রতিশ্রুতির পর দিন ১৯ মে নতুন ঘর নির্মাণের নির্মাণ সামগ্রী নাজমার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন এবং এক সপ্তাহের মধ্যে ঘরটি নির্মাণ করে দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শফিকুর রহমান গাজী কে দায়িত্ব দেন।
(মঙ্গলবার ২৫ মে) ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় ঘরের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ সময় সেখানে উপস্থিত শফিকুর রহমান গাজীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আবু নঈম দুলাল পাটোয়ারী তার নিজ অর্থায়নে প্রায় ২লক্ষ টাকা খরচ করে ঘরটি করে দিচ্ছি। প্রতিদিন ৬জন মিস্ত্রি ঘরটি নির্মাণে কাজ করছে। প্রতিদিন ভিডিও কলের মাধ্যমে জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি মহোদয় ঘর নির্মাণের বিষয়টি তদারকি করছেন। আমরা আশা করছি চলতি সপ্তাহের মধ্যে ঘরের কাজ সম্পন্ন হবে।
অপরদিকে নতুন ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা অন্ধ নাজমা বেগম। এ সময় তিনি বলেন, আমার দুটি সন্তান নিয়ে অনেক কষ্টে দিনযাপন করে আসছি।
আমার ছেলে নাজমুল নবম শ্রেণীতে এবং মেয়ে আফসানা মিমি ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ালেখা করছে। তাদেরকে পড়ালেখা করানোর মতো আমার এখন আর সাধ্য নেই। তাদের জন্য দুবেলা খাবার জোগাড় করতে আমি প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে যাচ্ছি। তাদের পড়ালেখার বিষয়টিও আবু নাঈম দুলাল পাটোয়ারী দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি আমার সন্তানদের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন। এজন্য আমি, আমার সন্তান এবং আমার পরিবারের পক্ষ থেকে তার প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞ। আমরা দোয়া করি দুলাল পাটোয়ারী এবং ওনার পরিবারের সকলকে আল্লাহপাক নেক হায়াত দান করুক।
আমার ছেলে নাজমুল নবম শ্রেণীতে এবং মেয়ে আফসানা মিমি ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ালেখা করছে। তাদেরকে পড়ালেখা করানোর মতো আমার এখন আর সেই ক্ষমতা নেই। তাদের জন্য দুবেলা খাবার জোগাড় করতে আমি প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে যাচ্ছি।