চাঁদপুর প্রতিনিধি ঃপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে চেষ্টা হচ্ছে। তবে কেউ এ বিচার ঠেকাতে পারবে না। বিচার হচ্ছে। বিচার হবে। বিচারের রায়ও কার্যকর হবে। দুপুরে গণভবনে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিরোধী দলের সমালোচনা করে সভার সূচনা বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যকাণ্ডের বিচারের দিন তারা হরতাল দিয়েছিল। তারা চেয়েছিল যাতে এই বিচার না হয়। কারণ বঙ্গবন্ধুর খুনিদের তারা বিচার না করে চাকরি দিয়েছিল। রাষ্ট্রদূত করেছিল। কিন্তু সেই বিচার তারা ঠেকাতে পারেনি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও ঠেকাতে পারবে না।
তিনি বলেন, আমাদের বিরোধী দলের কাজ হল খুনীদের মদত দেয়া, সন্ত্রাসীদের লালন পালন করা, এবার তারা পুলিশের ওপর আঘাত করলো। এইকাজগুলো তারা করে যাচ্ছে। তাদের মানিলন্ডারিং এর জন্য, অর্থ পাচারের জন্য বিদেশে দেশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছিল। তারা ক্ষমতায় থাকার সময় দেশে সন্ত্রাস হয়েছে। একই দিনে একসঙ্গে ৫০০ স্থানে বোমা হামলা হয়েছে। তখন মনে হয়েছে বাংলাদেশ যেন সন্ত্রাস আর জঙ্গিবাদের দেশ। দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে যেন দেশ আর অন্ধকারের অমানিশায় না ডুবে।
সরকারের মেয়াদে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের সময়ে যেসব নির্বাচন হয়েছে তার একটি নির্বাচন নিয়েও কেউ কোন অভিযোগ করতে পারেনি। সব নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্টু হয়েছে। শান্তিপূর্ন নির্বাচন করে সরকার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সরকারের মেয়াদে দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে অনেক নিম্ন আয়ের মানুষ মধ্যবিত্তের পর্যায়ে এসেছে। অন্তত পাঁচ কোটি মানুষ এ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, সতীশ চন্দ্র রায়, কাজী জাফরউল্লাহ, ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন মঞ্চে বসা ছিলেন।
এদিকে গণভবনে সংক্ষিপ্ত পরিসরে সভার আয়োজন করা হলেও চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী দুপুরের আগেই গণভবনের বাইরে জড়ো হন। তাদের অনেকে গণভবনে প্রবেশের সুযোগ পাননি। ভেতরে ঢুকতে না পেরে নেতাকর্মীরা গণভবনের বাইরে থেকে শ্লোগানও দেন। এক পর্যায়ে তারা গেট ঠেলে ভেতরে প্রবেশ করেন। কিন্তু সেখানকার নিরাপত্তাকর্মীরা ভেতরের দ্বিতীয় ফটকে তাদের আটকে দেন। পরে তাদের বের করে দেয়া হয়। দলীয় নেতাকর্মীদের এমন বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে নিরাপত্তা কর্মীদের দুর্ব্যবহারের শিকার হন বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী। তারা তাদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে গণভবনে প্রবেশ করলেও ভেতর থেকে ফের হয়ে যেতে বলেন এসএসএফ’র এক কর্মকর্তা। এসময় তিনি কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর একজন এপিএস এসে সংবাদকর্মীদের ভেতরে নিয়ে যান। অনুষ্ঠান শেষে এসএসএফ’র ওই কর্মকর্তার দুর্ব্যবহারের বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রতিবাদ জানালে গণভবনের কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে ওই কর্মকর্তা দুঃখ প্রকাশ করেন।
শিরোনাম:
সোমবার , ১৭ মার্চ, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৩ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।