দারিদ্রতার মধ্যে বসবাস করলে অন্যের কষ্টটা সহজে উপলব্দি করা যায়
——— জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খাঁন
স্টাফ রিপোর্টার ॥ চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল আলম এর বিদায় ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১ আগষ্ট) বিকাল ৫টায় জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গনে জেলা জজ শীপ ও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির কর্মচারীবৃন্দ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খাঁন। তিনি বক্তব্যে বলেন, বিদায়ী এ কর্মকর্তা অনেক কষ্ট দুঃখের মধ্যে দিয়ে আজকের এ পর্যায়ে এসেছেন। মানুষ কিভাবে সমস্যার মধ্যে দিয়ে বড় হয় তিনিই হচ্ছেন প্রমান। কবি নজরুল ইসলামের ভাষায় বলতে হয়, দারিদ্রতাই মানুষকে মহান করে তুলে। আর দারিদ্রতার মধ্যে বসবাস করলে অন্যের কষ্টটা সহজে উপলব্দি করা যায়। তিনি কর্মদক্ষতা দিয়ে জেলা জজ আদালতে কিছু পরিবর্তন এনেছেন এবং কর্মচারীদের দৈনন্দিন কাজে বিভিন্ন সমস্যায় এগিয়ে আসছেন। তার বিদায় আমাদের কিছুটা হলেও শূন্যতা সৃষ্টি হবে। তার এই শূন্যতা দুর করতে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আমি এ বিষয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। বিদায়ী এ কর্মকর্তার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল ও সফলতা কামনা করছি।
জেলা জজ আদালতের নাজির একেএম আব্দুল মতিন এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক (জেলা জজ) মো. আব্দুল মান্নান, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহসান তারেক, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মো. কায়সার মোশারফ ইউসুফ, যুগ্ম জেলা জজ মো. মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানে জেলা জজ শীপ ও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির অন্যান্য বিচারকগণ উপস্থিত ছিলেন।
কর্মচারীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির ফখরুদ্দিন আহমেদ, জেলা জজ আদালতের প্রধান তুলনাকারী আব্দুল ওয়াদুদ, ব্যাঞ্চ সহকারী আনোয়ার হোসেন, নেজারত শাখার জারি কারক আবুল কাশেম, অফিস সহকারী মহসীন আখন্দ। শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন সিনিয়র সেরেস্তাদার মাকছুদ উল্যাহ এবং গীতা পাঠ করেন হিসাব রক্ষক নারায়ন চন্দ্র দে।