শাহরিয়ার খান কৌশিক ॥
২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতাল সফল করার লক্ষ্যে জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফয়সাল গাজী বাহারের নেতৃত্বে সরকারি কলেজের সামনে বিক্ষোভ মিছিল বের করে চিত্রলেখা আসার পর পুলিশী বাধায় পন্ড হয়ে যায়,আজ রোববার বিকেল ৪টায় চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ছাত্রদলের মিছিলে বাঁধা দেয়ায় পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফয়সাল গাজী বাহারসহ ৩জনকে আটক করা হয়। পুলিশের সাথে ধ্বস্তাধস্তি করায় তাকে পিটিয়ে আহত গুরুতর আহত করে থানায় নিয়ে আসে।
হাসপাতালে ব্যথার যন্ত্রণায় আত্মনাদ করলে পুলিশ বাহার গাজীকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে জরুরী বিভাগে এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। হাসপাতালে দায়িত্বে থাকা ডাক্তার তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে হাসপাতালে ভর্তি করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু পুলিশ তাকে আহত অবস্থায় ভ্যানে উঠানোর সময় সে আরো অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। পরে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় পুরুষ ওয়ার্ডে নিয়ে ভর্তি করানো হয়।
জানা যায়, চাঁদপুরে হরতাল অবরোধে বিএনপি ও জামাত শিবিরের নেতাকর্মীরা ব্যাপক নাশকতা সৃষ্টি করে। হরতাল ও অবরোধ চলমান থাকা অবস্থায় চাঁদপুর মডেল থানায় বেশ কয়েকটি নাশকতার মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলার আসামী জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফয়সাল গাজী বাহার। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করার জন্য শহরের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশী করার পর অবশেষে মিছিল করাকালে চিত্রলেখা এলাকা থেকে আটক করে। জানা যায়, অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে মিছিলটি কলেজের সামনে থেকে বের করে চিত্রলেখা আসার পর দায়িত্বরত মডেল থানার এএসআই আজাদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাদের বাঁধা প্রদান করে। এ সময় মডেল থানার এসআই ওমর ফারুক, আনোয়ার, প্রদীপ, এএসআই নন্দন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে চিত্রলেখা এলাকায় গিয়ে ধাওয়া করলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
এ সময় উভয় পক্ষের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া দেখা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ দৌড়ে গিয়ে জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফয়সাল আহমেদ বাহার গাজী, প্রফেসর পাড়ার মোল্লা বাড়ির ওহিদ মোল্লার ছেলে কালাম মোল্লা (৫০), শাহরাস্তি শীবপুরের লিয়াকত আলীর ছেলে হারুনুর রশিদ মুন্না (২০)কে আটক করে। তাদেরকে আটক করার পর পুলিশের সাথে ধ্বস্তাধস্তির সময় ফয়সাল গাজী বাহার আহত হয়। আহতবস্থায় তাকে থানায় এনে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ফয়সাল গাজী বাহার গ্রেফতার হওয়ার খবর শুণে শহরের বিভিন্ন জায়গায় যানবাহনে ভাংচুর চালানো হয়। কালীবাড়ি থেকে বড়স্টেশন পর্যন্ত প্রায় ২০/২৫টি অ্েটারিক্সা, সিএনজি ভাংচুর করে। আহত ফয়সাল গাজীকে হাসপাতালে দেখার জন্য ছাত্রদল, বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা এসে ভীড় জমায়। বর্তমানে ফয়সাল গাজী বাহার পুলিশ প্রহরায় হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মডেল থানায় নাশকতার মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।