শাহরিয়ার খাঁন কৌশিক:
সরকার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে গত কয়েক মাসে চাঁদপুর বিএনপির প্রায় ৩শ‘ নেতা-কর্মী আটক হয়ে কারা নির্যাতিত হয়েছেন। ৫/৬ জন জেলা পর্যায়ের নেতা ছাড়া সবাই উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের তৃণমূলের নেতা-কর্মী। জেলা পর্যায় যে ৫ জন নেতা আটক হয়েছিলেন তাদের কাউকে ৩/৪, ৮/১০ দিন অর্থাৎ ২০ দিনেরও বেশি কারাগারে আটক থাকতে হয়নি। জামিনে বেরিয়ে এসেছেন। কিন্তু তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা জেল খেটেছেন মাসের পর মাস।
চাঁদপুর জেলা কারাগারে সূত্রে এবং দীর্ঘদিন জেলে আটক ছিলেন এমন ক‘জন জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে লাগাতার ৯০/৯৮ দিনের আন্দোলন সংগ্রাম চলাকালে পুলিশ নাশকতারসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে প্রায় ৩ হাজার বিএনপি নেতা-কর্মীকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। আন্দোলনের সময় অনেককে আটকও করা হয়। জামাত ও ২০ দলের শরীক অন্যান্য দলগুলো ছাড়া শুধু বিএনপির আটক হয়েছেন ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ৭২, কচুয়া উপজেলায় ৬৮, চাঁদপুর সদরে ৫৪, মতলব উত্তরে ৩৩, মতলব দঃ উপজেলায় ১৯, হাজীগঞ্জে ১৮, শাহরাস্তিতে ২৩ ও হাইমচরে ২জন। সবচে বেশি আটক হয়েছে ফরিদগঞ্জ থেকে। সম্প্রতি চাঁদপুর শহর বিএনপির সভাপতি, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি, জেলা যুবদলের সভাপতিসহ তৃণমূলের আরো ১৪জন আটক হয়। এর আগে পুলিশি নির্যাতনসহ আটক করা হয়েছিলো জেলা ছাত্রদলের শীর্ষ পর্যায়ের সাবেক ও বর্তমান দুই নেতা ইব্রাহীম কাজী জুয়েল এবং ফয়সাল আহমেদ বাহারকে। ফরিদগঞ্জ উপজেলার কারা নির্যাতিত নেতা আঃ রব চৌধুরী (৫৮) জানান, তার বিরুদ্ধে পুলিশ ৪টি মামলা দিয়েছে। আন্দোলনের সময় যে সব নেতা-কর্মী আটক হয়ে জেলে গেছেন তারা কমপক্ষে ২০দিন থেকে তিন মাস জেল খেটেছেন।