কাদের পলাশ
চাঁদপুর-ঢাকা নৌ পথে ধারণ ক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো ছেড়ে যাচ্ছে। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ অধিক লাভের আশায় যাত্রীদের এমন ঝুঁকির মধ্যে ছেড়ে দিচ্ছে। আর এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ’র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে যাত্রীরা।
চাঁদপুর শহরের বিকল্প মাদ্রাসা লঞ্চ ঘাট ঘুরে দেখা যায়, স্বজনদের সাথে ঈদ উদযাপনব করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজে ফিরছে মানুষ। চাঁদপুর-ঢাকা নৌ-পথে ধারণ ক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি যাত্রী নিয়ে ঘাট ত্যাগ করছে লঞ্চগুলো। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ অধিক লাভের আশায় ঠাসাঠাসা করে যাত্রী তুলছে। কাজে ফিরতে হবে সে সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে লঞ্চ মালিক পক্ষ। দেখা গেছে যে, ঘাট থেকে লঞ্চ একবার ছেড়ে আবার ঘাটে ভেড়াচ্ছে যাত্রী উঠানোর জন্যে।
গতকাল সোমবার দুপুর ১টায় চাঁদপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া এমভি আব-এ-জমজম লঞ্চে ধারণ ক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। যে কারণে লঞ্চটি একদিকে কাত হয়ে যায়। লঞ্চটি ডুবু ডুবু অস্থায় ঘাট ছাড়ে। এ প্রতিবেদক বিষয়টি বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের নজরে আনলে কিছুই করার নেই বলে জানান এক কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, লঞ্চ নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে কি না তা আমাদের দেখার বিষয়। লঞ্চে যাত্রী বেশি উঠছে না কম উঠছে তা আমাদের দেখার বিষয় নয়।
ঢাকাগামী এমভি আব-এ-জমজম লঞ্চের যাত্রী সাইফুল ইসলাম, শরীফ হোসেন ও অভি অভিযোগের সুরে বলেন, একটু বসার জায়গা পাচ্ছি না। তাই লঞ্চের একেবারে সামনের মাথায় দাঁড়িয়ে আছি। আবার অনেককেই লঞ্চ থেকে নেমে যেতেও দেখা গেছে।
যাত্রীরা দেখে শুনেই ওভার লোড হওয়ার পরও লঞ্চে উঠছে বলে জানান মালিক পক্ষের লোকজন। লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি রুহুল আমিন জানান, অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে লঞ্চে উঠতে অনুরোধ করলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। ঈদের সময় তা নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব নয়।
চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক মোঃ মোবারক হোসেন জানান. গত ২৪ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত সর্বোচ্চ তদারকি করা হয়েছে। তখন কোনো সমস্যা হয়নি। সোমবার কেনো এত যাত্রী হলো তা বুঝতে পারছি না। তবে অতিরিক্ত যাত্রী যাতে লঞ্চে না নেয়া হয় সে ব্যাপারে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
চাঁদপুর-ঢাকা নৌ পথে যাতে মুন্সিগঞ্জের ন্যায় কোনো দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সে জন্যে কর্তৃপক্ষকে বিশেষ তদারকি করার দাবি চাঁদপুরবাসীর।