চাঁদপুৃর শহরের সেন্ট্রাল হাসপাতালে মোবাইল চুরির দায়ে যুবককে নির্মমভাবে নির্যাতন করার ঘটানা অনলাইন চাঁদপুর নিউজে প্রকশের পর অভিযুক্ত ৩জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হাসপাতল কতৃপক্ষের সহযোগিতায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে ঘটনার মুল হোতা রাসেদ ও জাহিদ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মামুনুর রশীদ অনলাইন চাঁদপুর নিউজে ও চাঁদপুরের প্রত্রিকার সচিত্র প্রতিবেদন হাতে নিয়ে নির্মম এই ঘটনায় অভিযুক্ত ৩জনকে ছবি দেখে সনাক্ত করার পর আটক করে। আটককৃতরা হলেন স্থানীয় এক ফামের্সীর কর্মচারি সেন্ট্রাল হাসপাতলের আয়া অনিতা (৩৫) ও জুয়েল (২৮)। এদের প্রত্যেকেই কেচি দিয়ে চোর যুবকের মাথার চুল কাটে এবং জুতা দিয়ে বেদম প্রহার করে। এদিকে আটক তিন জনের মধ্যে জুয়েল জনৈক ডাক্তারের স্যালক । উল্লেখ্য গত ১২ অক্টোবর সোমবার সেন্ট্রাল হাসপাতালের ৪০৮ নং কেবিনের মতলব দক্ষিণ নুলুয়া থেকে আসা শান্তা বেগম নামের এক রুগীর মোবইল ফোন চুরি সময় নাছির নামের এক যুুবককে হাতেনাতে আটক করে হাসপাতাল কতৃপক্ষ। চোর আটকের খবর শুনে হাসপাতালের কর্মরত রাসেদ, জাহিদ ও পাশ্ববর্তী একটি ফার্মেসীর কর্মচারি রাব্বিসহ অন্যান্য স্টাফরা ছুটে আসে। পরে আটক নাছিরকে একটি কক্ষে ২ ঘন্টা আটক রেখে বেদম মারধর করে। শুধু তাই নয়, হাসপাতালের ওই স্টাফরা নাছিরকে টেনে হেঁচড়ে হাসপাতালে সিঁড়ি দিয়ে ৪র্থ তলার ছাদে উঠিয়েয় জুতা দিয়ে একে একে সকল স্টাফরা বেদম পেটায়। একপর্যায়ে তার মাথা ন্যড়া করে কমরের বেল্ট দিয়ে ছাদ থেকে কুকুরের মতো মারতে মারতে নিচে নামিয়ে আনে। মর্মান্তিক এই দৃশ্য দেখে উপস্থিত বেশ ক’জন প্রত্যক্ষদর্শী ওই স্টাফদের চোরকে আর না মারার জন্য অনুরোধ এবং বাধা প্রদান করলেও কারো কথাই স্টাফরা পাত্তা দেয়নি। নির্মম এই ঘটনাটি ‘লগু পাপে গুরুদন্ড’ শিরোনামের স্থানীয় কয়েকটি প্রত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। এই সংবাদের উপর ভিত্ত করে মঙ্গলবার মডেল থানার পুলিশ রাব্বি, অনিতা ও জুয়েলকে আটক করে।
শিরোনাম:
রবিবার , ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ , ৯ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
চাঁদপুর নিউজ সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।