শওকত আলী॥
চাঁদপুর পৌর নিউ মাকেটে পরিকল্পিত ভাবে অগ্নিকান্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে অল্পের জন্য রক্ষা পেল ৩৮টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কোটি-কোটি টাকার কাপড়,ঔষধ,ইলেকট্রনিক্র সামগ্রী,ডাক্তার চেম্বার,গামেন্ট্যসহ বিভিন্ন প্রকার মালামাল,একটি এ বি ব্যাংক,বীমা অফিস, ৩য় তলায় লায়ন, রোটারী ক্লাবও-৪র্থ তলায় বসবাসকৃত আবাসিক বাসা-বাড়ির ৫০ জন মানব সম্পদ । ঘটনাটি ঘটেছে,গতকাল গভীর রাত অনুমান দেড়টার সময় নিউ মাকেটের তাহসিন এন্ড তালহা ফ্যাশন নামক গার্মেন্সে। এ ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক মো: খোরশেদ আলম খান একটি অভিযোগ করেছে। ঘটনার পর নিউ মাকেটের সকল ব্যবসায়িরা এক হয়ে এক মিটিংয়ের মাধ্যমে আলোচনায় বসেন। সেখানে ব্যবসায়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক মো: খোরশেদ আলম খান সন্দেহ করেছেন,এ মাকেটের ব্যবসায়ী ইসমাইল খান এ ঘটনা ঘটাতে পারে। যার ফলে সন্দেহের তীর এখন ইসমাইলের দিকে। তাকে পুলিশী জিজ্ঞাসা বাদ করলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসতে পারে বলে সকল ব্যবসায়ীদের মন্তব্য ও ধারনা। এ ঘটনা নিয়ে নিউ মাকেটে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্বাবনা লক্ষ করা যাচেছ।
চাঁদপুর মডেল থানায় অভিযোগ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক মো: খোরশেদ আলম খানের সাথে আলাপ কালে জানা যায়, চাঁদপুর শহরের অত্যান্ত ব্যাস্ততম এলাকা শহরের কালিবাড়ি মোড়ের পৌর নিউ মাকেটের ব্যবসায়ীরা প্রতিদিনের ন্যায় তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যায়। হঠাৎ রাত দেড়টার সময় পালবাজারের হোটেল ব্যবসায়ীর মো: নূরে আলম পাটওয়ারী রুবেল নিউ মাকেটের ৪র্থ তলার বাসিন্দা নিউ মাকেটের নীচ তলা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখতে পায় তাহসিন এন্ড তালহা ফ্যাশনের সাটারের ভিতর আগুন জ¦লছে। এ সময় তার চিৎকারে এবি ব্যাংকের নীচে থাকা এটি এন ব্যুথের নাইট গার্ড হাবিবুর রহমান, ও কুমিল্লা রোডের নূর ম্যানশনের নাইট গার্ড সেলিম গাজীসহ আশপাশের লোকজন ও ৪র্থ তালা থেকে পানি এনে তাৎক্ষনিক আগুন নিভাতে সক্ষম হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বে থানা কর্মকর্তারা ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দোকানের তালা ভেঙ্গে ভিতরে কাপড়ে লাগা আগুন পানি দিয়ে নিয়ন্ত্রনে আনে। তা না হলে আগুনের লেলিহান শিখায় আগুন লেগে পুরো নিউ মাকেট জ¦লে যেত। আগুনে পুড়ে দোকানের প্রায় ৫০হাজার টাকার মালামাল পুড়েগেছে বলে দোকানের মালিক খোরশেদ আলম জানান। তবে অল্পের জন্য পুরো মাকেটটি রক্ষা পেয়েছে। এটি এন বুর্থের হাবিব, হোটেল ব্যবসায়ীর মো: নূরে আলম পাটওয়ারী রুবেল ও নূর ম্যানশনের নাইট গার্ড সেলিম গাজী জানান,তারা দেখতে পেয়েছে, এ মাকেটের ব্যবসায়ী ইসমাইল খান ঘটনার সময় ঘটনাস্থল থেকে কুমিল্লা রোড দিয়ে চলে যেতে। ব্যবসায়ীদের ধারনা ইসমাইল শক্রতা করে এ কাজটি করতে পারে। তার সাথে এ দোকানের মালিকের সাথে মালামাল বাকী বিক্রি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এ মাকেটটি পুড়ে গেলে ব্যাংকের কোটি-কোটি টাকা ছাড়া ৩৮টি দোকানের কমপক্ষে ৮ কোটি টাকার ক্ষতিসাধিত হতো। এ ছাড়া ৪র্থ তলায় অবস্থানরত ৫০জন মানুষ পুড়ে মারা যেত। এ ব্যাপারে দোকানের মালিক খোরশেদ আলম জানান,হীরা ক্লর্থ স্টোরের ইসমাইল বাকীতে দোকানের মালামাল ক্রয় করতে চেয়ে ছিলেন,১০/১৫ দিন পূর্বে। না দেওয়ায় সে দোকানের বাহির থেকে কাপড়ে পেট্রোল লাগিয়ে দোকানের ভিতরে কাপড়টি ডুকিয়ে দেয়। এ ব্যাপারে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেখানে উল্লেখ,করা হয় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দোকানে আগুন লাগানো হয়েছে। সচেতন মহলের মতে পুলিশ বেশিক ব্যাংক ও মন্দিরের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত করলে প্রকৃৃত অপরাধিকে আটক করতে পারবে বলে তাদের ধারনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে মাকেটের ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে পৌর মেয়র নাছির উদ্দিনের কাছে এর সুস্ট তদন্ত দাবী করে তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।