রফিকুল ইসলাম বাবু ঃ
চাঁদপুর মাদ্রাসা ঘাট অস্থায়ী নৌ টার্মিণালে টিকেট না দিয়ে সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটোরিস্কা থেকে পার্কিং ইয়ার্ড চার্জ আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে চালকরা। তাদের দাবি প্রতিবার ৫টাকা করে নেয়া হচ্ছে কিন্তু রশিদ দিচ্ছে না। এতে সরকারি কোষাগারে টাকা কম জমা দিয়ে অর্থআত্মসাতের পাঁয়তারা করা হচ্ছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে ঈদ উপলক্ষ্যে শতভাগ স্বচ্ছতা রেখে কাজ করা কঠিন ব্যাপার। তারপরেও বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখে সত্যতা মিললে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঈদ উপলক্ষ্যে চাঁদপুর অস্থায়ী নৌ টার্মিণালের পার্কিং ইয়ার্ডে প্রতিদিন অন্তত পাঁচ হাজার সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ও ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা আশা যাওয়া করে। এর অধিকাংশ থেকেই টিকেট ছাড়া পার্কিং ইয়ার্ডের চার্জ আদায় করা হচ্ছে। টাকার বিনিময়ে টিকেট বা রশিদ দেয়ার সরকারি নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না এমনটাই অভিযোগ চালকদের। সরেজমিনেও চাঁদপুর মাদ্রাসা ঘাট অস্থায়ী নৌ টার্মিণাল ঘুরে দেখা এর সত্যতা মিলেছে। মাঝে মাঝে দুই একটা টিকেট দেয়া হচ্ছে। টিকিটের গায়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ সকল নদী বন্দরের জন্য প্রযোজ্য, টিকেট নং এবং পার্কিং ইয়ার্ড চার্জ ৫টাকা লেখা রয়েছে। রিসিটে গাড়ীর নং, তারিখ, সময় এবং আদায়কারীর কোনো সাক্ষর দেয়া হয় না। ঈদ উপলক্ষ্যে এ পার্কিং ইয়ার্ডে প্রতিদিন অন্তত ৫ হাজার সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটোরিস্কা প্রবেশ করে। কিন্তু সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হবে নূন্যতম একটা অংশ। যেটা টিকেটের হিসেব দেখে মিলিয়ে নেয়া হবে। গাড়ি চালক মোক্তার হোসেন, আমজাদ মিয়া ও রুস্তম আলী অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবার ইয়ার্ডে ঢুকলেই পাঁচ টাকা করে নিয়ে যায়। কিন্তু রিকেট বা রশিদ দেয়া হয় না। আমরা চাইলে বলে লাগবে না। এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুর এর উপ-পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গত ১ জুলাই থেকে এ শুল্ক আদায় করা হচ্ছে। এ স্বল্প সময়ের মধ্যে এমনটি হওয়ার কথা নয়। আমরা প্রতিটি গাড়িকেই টিকেট দিচ্ছি। যদিও ঈদ উপলক্ষ্যে সব দিকে নজর দিয়ে কাজ করা সম্ভভ হয়ে উঠে না। তারপরেও বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।