স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁদপুর নৌ টার্মিনালে ভিড়ানো একটি লঞ্চকে বিধিমালা ভঙ্গ করে আরেকটি লঞ্চ সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে আঘাত প্রাপ্ত লঞ্চটি শুধু ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, সেই লঞ্চে থাকা যাত্রী সুইটি (১৪) নামে এক স্কুল ছাত্রী গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার বেলা আড়াইটায়।
জানাযায় হাইমচরের নীলকমল থেকে ছেড়ে আসা বোগদাদিয়া-৮ লঞ্চটি বেলা আড়াইটায় চাঁদপুর নৌ টার্মিনালে যাত্রী উঠাচ্ছিল। এসময় কোন প্রকার বিধিমালা না মেনে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মেঘনার পশ্চিমপাড় জালালপুরগামী এমভি স্বর্ণদীপ-৮ নামে আরেকটি যাত্রীবাহী লঞ্চ ঘাটে নোঙ্গর না করে এমভি বোগদাদিয়া লঞ্চকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এর ফলে বোগদাদিয়া লঞ্চটির ব্যাপক ক্ষতি হয় ও লঞ্চে থাকা প্রায় ৮ জন যাত্রী কমবেশি আহত হয় বলে জানান বোগদাদিয়া লঞ্চের ঘাটের দায়িত্বে থাকা মনির হোসেন। এর মধ্যে নাজমা (২৫), নাছির (৩০), কামাল হোসেন গাজী (৩৫) ও তার মেয়ে সুইটি (১৪) কে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্কুল ছাত্রী সুইটির কোমড়ের ও পীঠের মেরুদন্ড ভেঙ্গে যায়। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ওমর ফারুক রায়হান (রূপম)। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সুইটি সদর উপজেলার বাবুরহাট হাইস্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী। দক্ষিণ রালদিয়ায় তার গ্রামের বাড়ি। তার বাবার নাম কামাল হোনেন গাজী। এদিকে আঘাতকারী লঞ্চ স্বর্ণদ্বীপ দুর্ঘটনা ঘটিয়ে বীরদর্পে গন্তব্যে ছেড়ে গেলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় লঞ্চ ঘাটে থাকা যাত্রী সাধারণকে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। এ ব্যাপারে চাঁদপুর নৌপুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান দুর্ঘটনার সময় কোন নৌপুলিশ পল্টনে না থাকায় স্বর্ণদ্বীপ লঞ্চটি স্বেচ্ছায় চলে যেতে পেরেছে। তবে লঞ্চটির ব্যাপারে অব্যশই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।