চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. জাহিদুল হকসহ চার কর্মচারীর বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
গত সোমবার বিকেলে সদর থানায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তাছলিমা বেগম নামের এক নারী।
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল কাইয়ুম অভিযোগের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগকারী তাছলিমা বেগম চাঁদপুর সদর উপজেলার মোবারক কান্দি গ্রামের মো. শাহীনের স্ত্রী।
অভিযুক্ত অন্যান্যরা হলেন, কবির হোসেন, আরিফুল ইসলাম ও আল-আমিন (আনসার সদস্য)। তারা আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের কর্মচারী বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তাছলিমা বিদেশ যাওয়ার উদ্দেশ্যে গত ১২ মে নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন। আগামী ২ জুলাই পাসপোর্ট প্রদান করা হবে বলে তাকে জানানো হয়। এরপর গত ২২ মে মোবাইল ফোনে তাকে পাসপোর্ট অফিসে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে আনসার সদস্য আল আমিন তাকে সহকারী পরিচালকের কক্ষে নিয়ে যায়। পরে অভিযুক্তরা তার সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ ও কুপ্রস্তাব দেয়। তাদের কথায় রাজি না হওয়া তাছলিমাকে বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়।
তাছলিমা বেগম জানান, ফরমে ভুল আছে বলে অফিস কর্মচারী কবির হোসেন ও জাহিদ সাহেব আমাকে ফোন করে। আমি সেখানে গেলে ফরমের ভুল সংশোধনের জন্যে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন তারা। টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে তারা আমার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে।
অভিযোগের বিষয়ে চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. জাহিদুল হক বলেন, অভিযোগ যে কেউ দিতে পারেন। অন্য প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অফিসের কেউ যদি কোনো গ্রাহককে হয়রানি করে তবে অভিযোগ দিলে আমি ব্যবস্থা নেব।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, চাঁদপুর জেলা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে প্রতিদিন শ শ গ্রাহক চরম দুর্ভোগ ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। আবেদন ফরম জমা দেওয়া, ছবি তোলা, ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়া ও পাসপোর্ট উত্তোলনে এখানে দুনীর্তি চরম আকারণ ধারণ করেছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে দালালের উপদ্রব। আর এসব কাজে জড়িত রয়েছে পাসপোর্ট অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী।