শাহারিয়ার খান কৌশিক ॥
চাঁদপুর পুরানবাজারে প্রতি বছরের ন্যায় পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে সেমাই তৈরী ও গুদামজাত করার মহাউৎসব শুরু হয়েছে। রমজানের মাঝামাঝি ও ঈদ নিকটবর্তী সময়ে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নির্বাহী ম্যাজেষ্টেট অভিযান পরিচালনা করায় এ বছর রমজানের শুরুতেই কৌশল করে আগে ভাগেই সেমাই তৈরী করে অনত্র গুদামজাত করছে।
জানা গেছে, পুরানবাজারের নিতাইগঞ্জ রোডের মীম বেকারীতে নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গরুর ঘরের পাশে সেমাই তৈরী করতে দেখা গেছে। এছারা গ্লাপ্স ও ইউনিফরম বিহীন ঘার্মাত শরীরে দিন রাত সমান তালে তৈরী হচ্ছে ভেজাল সেমাই। প্রশাসনের চোখকে ফাকি দিতে ফ্যাক্টরীতে গুদামজাত না করে দূরবর্তী স্থানে গুদামজাত করতে দেখা গেছে। এছাড়া পুরানবাজারের রয়েজ রোডের কমিউনিটি সেন্টারের সামনে মুনছুরের সেমাই কারখানা, নিতাই গঞ্জ রোডের আলম বেকারী,মেরকাটিজ রোডের জাহাঙ্গীর খানের সেমাই কারখানা ও রনাঘোয়াল এলাকার বিল্লাল খানের সেমাই কারখানায় পুরোদমে সেমাই তৈরীর কাজ শুরু হয়েছে। বিগত দিনে এসব সেমাই কারখানার বিরুদ্ধে নির্বাহী ম্যাজেষ্টেটরা জরিমানা করলেও বন্ধ হয়নি নোংরা পরিবেশে সেমাই তৈরীর কার্যক্রম। গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পুরানবাজারের নিতাইগঞ্জ রোডের মীম বেকারীর মালিক ইউছুফ ও নূরেআলম তাদের শ্রমিকদের দিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দেদারছে সেমাই তৈরী করছে। তৈরীকৃত সেমাইগুলো প্রশাসনের চোখকে ফাকি দিতে ফ্যাক্টরী থেকে দূরে সাধনা ঔষাধালয়ের পিছনে একটি গুদামে সেমাই মজুদ করতে দেখা গেছে। মীম সেমাই ফ্যাক্টরীতে শ্রমিকরা ময়দার খামিরের উপর ময়লা খালি পায়ে দাড়িয়ে খামির তেরী করছে। পরে সেগুলো রেফসিট ও পুরনো পুড়া তেলে ভেজে প্যাকেট জাত করছে। সাংবাদিক কারখানায় ঢুকার খবর পেয়ে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে ময়লা শরীরে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। মীম বেকারীর সেমাই ভাজার চুলার পাশে রয়েছে ২টি ঘোয়াল ঘর। সেমাই ভেজে রাখার স্থানের পাশেই রয়েছে গোবরের স্তুপ। সেমাই প্যাকেটে নেই কোন মূল তালিকা,উৎপাদনের তারীখ ও মেয়াদ উর্ত্তিনের তারীখ। বেশ কিছু সেমাই কারখানা বিএসটিআই অনুমোদন ছারা তৈরী করছে সেমাই। এ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্য দিয়ে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে পুরানবাজারের কারখানাগুলোতে তৈরী হচ্ছে ভেজাল সেমাই। প্রশাসন এখনই ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করলে ভেজাল সেমাই তৈরী বন্ধ হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।