শাহারিয়ারর খান কৌশিক॥
চাঁদপুর পুরানবাজারের কলেজ রোড এলাকায় নকল ফেন্সিডিল,সার,যৌন উত্তেজক ম্যান পাওয়ার সিরাপ ও ভেজাল শিশু খাদ্য পন্যের কারখানার সন্ধান মিলেছে। চাঁদপুর ডিবি পুলিশের অফিসার্স ইনচার্জ আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে এসআই ফিরোজ আলম ও এএসআই আহসানুজ্জামান লাবু সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে মালিক সহ ৩ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়।
আজ মঙ্গলবার এসিল্যান্ড নির্বাহী ম্যাজেষ্টেট চৌধুরী আশরাফুল করীম ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ৩জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করে। এদের মধ্যে আটক মালিক মৃত ইদ্দিস বেপারীর ছেলে মুরাদ বেপারী (৩০) কে ২ বছরের কারাদন্ড পূর্ব শ্রীরামদীর মোঃ লতিফ বেপারীর ছেলে হায়াতুল ইসলাম আলম বেপারী (৩৫) কে ১ বছরের সাজা এবং রামদাসদীর মৃত শামছল গাজীর ছেলে মোস্তফা গাজী (৪৫) কে ৩ মাসের কারাদন্ড প্রদান করে। জব্দকৃত নকল সার,ইন্ডিয়ান নকল রিন ডিটারজেন্ট, বিভিন্ন কোম্পানীর চানাচুর,চিপস,সেমাই সহ বিভিন্ন নকল শিশু খাদ্যপন্য পুরানবাজার সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের পেছনে আগুনে পুড়িয়ে ও মাটিতে পুতে বিনষ্ট করা হয়। গত সোমবার গভীর রাত থেকে শুরু করে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ডিবি পুলিশের বিরামহীন অভিযান পরিচালিত হয়েছে। প্রতারক চক্ররা পুরানবাজার কলেজের সামনে একটি ফ্ল্যাট বাসার নিচের তলায় ভেজাল কারখানায় পন্য তৈরী করে সেগুলো রয়েজ রোড এইচ এম কবিরের মিয়াজী ভবনের ভাড়াটিয়া দোকানে ও কলেজ রোডের আসালামের মালিকানাধীন ভাড়াটিয়া দোকানে গুদামজাত করে চাঁদপুর সহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে। চাঁদপুর ডিবি পুলিশের অফিসার্স ইনচার্জ আলমগীর হোসেন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁদপুরে এ প্রথম সর্ববৃহৎ বিভিন্ন ভেজাল পন্যের কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। শ্বাসরুদ্ধকর ১৯ ঘন্টার সফল অভিযানে বিপুল পরিমান নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজক সিরাপ, নকল সার,ইন্ডিয়ান নকল রিন ডিটারজেন্ট, বিভিন্ন নামকরা কোম্পানীর চানাচুর,চিপস,সেমাই সহ নানা নকল শিশু খাদ্যপন্য জব্দ করেছে ডিবি পুলিশ।
এসি ল্যান্ড চৌধুরী আশরাফুল করীম জানান, নকল কারখানায় অভিযান চালিয়ে মালামালগুলো জব্দ করে তা বিনষ্ট করা হয়েছে। সে ঘটনায় ৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়। তার পরে মাল রাখার গোডাউনে বিপুল পরিমান নকল খাদ্যপন্য,নিষদ্ধ যৌন উত্তেজক সিরাপ সহ গোডাউন সিলগালা করা হয়। শেষে জব্দকৃত পন্যের ব্যপারে আটককৃতদের বিরুদ্ধে পুনরায় আরো মামলা দায়ের করা হবে।
ডিবি পুলিশের অফিসার্স ইনচার্জ আলমগীর হোসেন জানান, কারখানায় অভিযান চালিয়ে ভেজাল পন্য তৈরীর মেশিন,বিভিন্ন কোম্পানীর নকল পন্য জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া ভারতীয় ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালত অবৈধ ভেজাল পন্যের বিরুদ্ধে আটককৃতদের সাজা প্রদান করলে ও পরে তাদের গোডাউনের ভিতর যৌন উত্তেজক সিরাপ সহ বিভিন্ন ভেজাল মালামালের সন্ধান পাওয়ায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে আরো কয়েকটি মামলা দায়ের করা হবে। এদের সাথে যারা জরিত রয়েছে তাদেরকেও আসামী করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়,পুরানবাজারে এ প্রথম এতো ভেজাল পন্যের কারখানায় অভিযান চালিয়ে মালিক সহ ৩ জনকে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় কারনে অনান্য অপরাধীরা এ ধরনের অপরাধ সংঘটিত করতে পারবে না।