ঈদুল আযহা উপলক্ষে চাঁদপুর পৌরসভার চারটি স্থানে এবার অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট বসছে। জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
যেসব স্থানে মিলবে পশুর হাট : স্বর্ণখোলা বাস স্ট্যান্ড, বাবুরহাট, রঘুনাথপুর মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ (ওয়াপদা সংলগ্ন) ৫নং ওয়ার্ড ও পুরাণবাজার ওছমানিয়া মাদ্রাসা মাঠ। এই চারটির মধ্যে বাস স্ট্যান্ড স্বর্ণখোলা ও বাবুরহাট পশুর হাট ইজারা প্রদান করে চাঁদপুর পৌরসভা। বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্যানেল মেয়র সিদ্দিকুর রহমান ঢালী।
উল্লেখিত স্থান ছাড়া পৌর এলাকায় আর কোনো গরু ছাগলের হাট বসবে না।
কোরবানির পশুর হাটে মেনে চলতে হবে যেসব শর্ত
ঈদুল আযহা উপলক্ষে অস্থায়ী ১৯৯টি পশুর হাট অনুমোদন দিয়েছে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন। এবার ভিন্ন পরিস্থিতিতে কোরবানির পশুর হাট বসতে যাচ্ছে। চলমান করোনা মহামারী বিস্তার রোধে বিশেষ শর্তাবলিতে গরুর হাটের এ অনুমোদন দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসন চাঁদপুরের স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক প্রণীত শর্তাবলি নিম্নরূপ :
১) এই অস্থায়ী হাট ১৪২৭ বঙ্গাব্দের ঈদুল আযহা উদ্যাপন পর্যন্ত বসানো যাবে।
২) সরকারি হাট-বাজার ব্যবস্থাপনা, ইজারা সম্পর্কিত নীতিমালা ২০১১ এবং হাট-বাজার ইজারা চুক্তি দলিলে বর্ণিত শর্তাবলি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
৩) মহাসড়কে কিংবা জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয় এমন জায়গায় অস্থায়ী পশুর হাট বসানো যাবে না।
৪) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ, খেলার মাঠ, রেললাইন, সড়ক-মহাসড়কের পাশে ইত্যাদি জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে অস্থায়ী পশুর হাট বসানো যাবে না।
৫) কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার একমুখী চলাচল থাকতে হবে। ক্রেতা-বিক্রেতা প্রত্যেকের হাটে প্রবেশমুখে তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র এবং হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত বেসিন, পানি, জীবাণুনাশক সাবান থাকতে হবে।
৬) পশুর হাটে পশু ও ক্রেতার মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে হবে। বৃদ্ধ ও শিশুদেরকে পশুর হাটে প্রবেশ নিরুৎসাহিত করতে হবে।
৭) অনলাইনে পশুর হাট আয়োজনের বিষয়ে উপজেলা, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে তথ্য সেবা কেন্দ্র/ডিজিটাল সেন্টার সমূহ উদ্যোগী ভূমিকা পালন করবে।