অবশেষে চাঁদপুর পৌরসভার পুরো নির্বাচন বাতিল করেছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনার। সোমবার (১৬ মার্চ) নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপ-সচিব মোঃ আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এ নির্বাচন স্থগিত-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। চাঁদপুর জেলা
নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসারের স্মারক নং (১)
১৭.১০.১৩০০.০০০.৩৮.০০১.২০-২৫৫, ১৪ মার্চ ও ১৭.১০.১৩০০.০০০.৩৮.০০১.২০-২৪৬,
১৩ মার্চ ২০২০ স্থগিতের নির্দেশ প্রদান করা হয়।
তাই চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনে, মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের কোনো পদেই ২৯ মার্চ ভোট গ্রহণ হচ্ছে না।
চাঁদপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মোঃ হেলাল উদ্দিন বিষয়টি দৈনিক চাঁদপুর খবরকে নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ‘ভোট গ্রহণে পরিবর্তিত নতুন তারিখ পরে জানানো হবে। আপাতত নির্বাচন হচ্ছে না।’ বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে গতকাল প্রাপ্ত চিঠির বরাত দিয়ে তিনি নিজেও এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করবেন বলে জানান ।
এর আগে গেলো ১৩ মার্চ শুক্রবার ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির প্রার্থী সাবেক পৌর চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান ভূঁইয়ার মৃত্যুতে কাউন্সিলরদের বিষয়েটি ঠিক রেখে মেয়র পদে চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাচন স্থগতি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওইসময় মেয়র পদে নির্বাচন স্থগিত করা হলেও পূর্ব নির্ধারিত তারিখ ২৯ মার্চ পৌরসভার ১৫ টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, ৫টি ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হওয়ার বিষয়ে জানানো হয়।
মনোনয়ন ও প্রতীক চূড়ান্ত হওয়া চলমান প্রার্থীদের প্রসঙ্গে প্রজ্ঞাপনে বিধি উল্লেখপূর্বক বলা হয়, ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) নির্বাচন বিধি, ২০১০ এর বিধি ২০ এর উপবিধি (৩) অনুসারে নতুন তফসিল ঘোষণার পর মেয়র পদে বিদ্যমান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ব্যাতিত আগ্রহী অন্যদের প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দেয়ার বিধান থাকবে।
কিন্তু মেয়র ছাড়া স্থগিত সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ও সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে নতুন কোনো প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিলের সুযোগ থাকবে না। ফলে সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ও সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে যে পর্যায় থেকে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে সে পর্যায় থেকে বিদ্যমান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে করে পুরোনো প্রার্থীদেরে নতুন করে কোনো মনোনয়ন জমা দিতে হবে না। শুধুমাত্র মেয়র পদে নতুন তফসিলে মনোনয়ন জমা দেয়ার সুযোগ থাকবে।
এ বিষয়ে পরবর্তীতে আরো নির্দেশনা দেয়া হবে বলে প্রজ্ঞানে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, চলমান করোনা ইস্যু ও আগামিতে এইচএসসি পরীক্ষা ইস্যুতে এ নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা আসতে কয়েক মাস সময় লেগে যেতে পারে।