চাঁদপুর: চাঁদপুর পৌরসভার আয়তন বৃদ্ধির প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত। রাজনৈতিক বিবেচনায় সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন থেকে প্রায় ৩৭টি ওয়ার্ড পৌরসভার সাথে অন্তর্ভূক্ত করতে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ এ প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
নতুন এলাকা চাঁদপুর পৌরসভার সাথে অন্তর্ভূক্ত হলে দুর্ভোগে পড়বে প্রায় ২০ সহস্রাধিক পরিবার এমনই অভিযোগ ঐ গ্রামবাসীদের। জনদুর্ভোগ বাড়লেও রাজনৈতিক বিবেচনায় পৌরসভার আয়তন বাড়ানোর পরিকল্পনা থেমে নেই।
ইতোমধ্যে ওইসব এলাকা গেজেট প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় সীমানা বৃদ্ধির কাজ অন্ত্যন্ত গোপনে ও সতর্কতার সাথে চাঁদপুর পৌর পরিষদ করে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
চাঁদপুর পৌরসভা ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ আগস্ট চাঁদপুর পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ স্থানীয় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবরে পত্র প্রেরণ করেছেন। পত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘১৮ জুলাই পৌর পরিষদের মাসিক সভার সিদ্ধান্তের আলোকে চাঁদপুর পৌরসভার আয়তন অনেক কম। মানুষের মৌলিক অধিকার খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্রুত নগরায়ন প্রয়োজন। তাই পার্শ্ববর্তী কয়েকটি ইউনিয়নের সীমানা সংলগ্ন ওয়ার্ডকে পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।’
উল্লেখিত ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডগুলো হল- তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের ১নং ও ২নং ওয়ার্ড, কল্যাণপুর ইউনিয়নের দাসদী, কল্যাণদী ও আমানউল্লাহপুর, আশিকাটি ইউনিয়নের ১নং ও ২নং ওয়ার্ড, মৈশাদি ইউনিয়নের ৫টি ওয়ার্ড, শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের বড় শাহতলী ও ছোট শাহতলী, বাগাদী ইউনিয়নের ৭টি ওয়ার্ড, লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ৩টি ওয়ার্ড, চান্দ্রা ইউনিয়নের ৪টি ওয়ার্ড, ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নের দু’টি ওয়ার্ড ও বালিয়া ইউনিয়নের ৫টি ওয়ার্ড।
ইতোমধ্যে ২০০৮ সালে চাঁদপুর পৌরসভার ৯ বর্গকিলোমিটার আয়তনকে ২২ বর্গকিলোমিটারে বাড়ানো হয়েছে। অতিরিক্ত ১৩ কিলোমিটারে দীর্ঘ ৬ বছরেও পৌঁছেনি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, পানি, স্যানিটেশন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা।
ভুক্তভোগী এলাকার মানুষ নিয়মিত পৌর কর পরিশোধ করলেও নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এরমধ্যে অতিরিক্ত ৩৭টি ওয়ার্ড অন্তর্ভূক্ত হলে তা হবে ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট এলাকার চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যসহ সচেতন মহল।
চাঁদপুর পৌরসভার আয়তন প্রসঙ্গে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতাউর রহমান জানান, আয়তন বৃদ্ধির বিষয়টি আমাদের আওতায় নয়। কেবলমাত্র স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সীমানা বৃদ্ধি করার এখতিয়ার রাখে।