স্টাফ রিপোর্টার ॥ নিজের ছবি সম্বলিত সাঁটানো সকল ব্যানার ও ফেস্টুন নিজেই নামিয়ে ব্যতিক্রমি উদ্যোগ নিলেন চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. জিল্লুর রহমান জুয়েল। উচ্চ শিক্ষা, সততা, যোগ্যতা, মেধা, ভদ্রতা ও মার্জিত আচরণের কারণে ইতিমধ্যে সর্বমহলে সমাদৃত অ্যাড. জিল্লুর রহমান জুয়েল গতকাল ৪ মার্চ সকাল ১১টা থেকেই ইতোমধ্যে সাঁটানো নিজ ছবি সম্বলিত সকল ব্যানার ও ফেস্টুন নামানো শুরু করেন। প্রথমেই তিনি শিক্ষামন্ত্রীর বাসভবনের নিচে সাঁটানো অ্যাড. জিল্লুর রহমান জুয়েলের ছবি সম্বলিত ব্যানার অপসারণ করেন। এরপর তিনি বঙ্গবন্ধু সড়কস্থ নিজ বাড়ির সামনে সাঁটানো ব্যানারসহ শহরের কয়েকটি স্থানের ব্যানার অপসারণ করেন।
নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা যাতে কোন কারণে ভঙ্গ না হয়, সে জন্যই তার এ ব্যতিক্রমি উদ্যোগ। তার এ ব্যতিক্রমি উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে চাঁদপুরের সচেতনমহল। তারা জানান, যেখানে নির্বাচনকালীন সময়ে আচরণ বিধিমালা রক্ষায় ব্যানার অপসারণের জন্য প্রশাসনের মাঠে নামতে হয়। সেখানে মেয়র প্রার্থী জিল্লুর রহমান জুয়েল নিজেই নিজ ছবি সম্বলিত ব্যানার ও ফেস্টুন খুলে চাঁদপুরবাসীর কাছে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো।
এ বিষয়ে অ্যাড. জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, ব্যানার ও ফেস্টুন অপসারণের সিদ্ধান্ত আরো আগের। ব্যস্ততার জন্য সময় করে উঠতে পারিনি। নির্বাচনী বিধিমালা রক্ষায় সবসময় সচেষ্টা থাকার চেষ্টা করবো। কারণ পৌর এলাকার দায়িত্ব নেয়ার জন্য নির্বাচনী মাঠে নেমেছি, তাই নিজেকে ভালো কিছুর প্রত্যয়ে সবসময় প্রস্তুত রাখাটাই উচিত। পৌরসভা নির্বাচনে সকল প্রার্থীকে তাদের ব্যানার ও ফেস্টুন ৯ মার্চের পূর্ব পর্যন্ত অপসারণ করা এবং নতুন করে সাঁটানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি। আর যে যেখানে আমার ছবি সম্বলিত ব্যানার সাঁটিয়েছেন তাদেরকেও বিনয়ের সাথে জানাচ্ছি নিজ দায়িত্বে ঐ সকল ব্যানার ও ফেস্টুন অপসারণ করবেন। নির্বাচনী বিধিমালা রক্ষায় সকল প্রার্থীরই সচেষ্ট থাকা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, মনোনয়নপত্র যাচাইয়ের দিনেও তিনি সকল প্রার্থীকে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি দৃষ্টি রেখে রাত ৮টার পরিবর্তে ৬টা পর্যন্ত মাইক ব্যবহারের অনুরোধ করেন। এ অনুরোধকে স্বাগত জানিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগনও তাদের মতামত প্রকাশ করেছেন।