রফিকুল ইসলাম বাবু ॥
চাঁদপুর শহরের ৯নং ওয়ার্ড মাঝি বাড়ী সংলগ্ন আশে পাশের কয়েকটি বাড়ী থেকে ৭টি চোরাই গরু উদ্ধারের ঘটনায় আন্তঃজেলা গরু চোর চক্রের ৪ সদস্যের মধ্যে ৩ সদস্য আদালতে আত্ম সমর্পণ করলে বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। অপরদিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এস আই সাইদুর রহমান সংঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে শহরের মাদ্রাসা রোড থেকে গোপন সংবাদের ভিক্তিতে গরু চোর চক্রের প্রধান আসামী মনির হোসেন গাজী অরফে কাঠ মনিরকে আটক করে। পরে তাকে আদালতে প্রেরণ করলে বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। আন্তঃজেলা গরু চোর চক্রের অন্যান্য আত্ম সমর্পনকারী ৩ সদস্য হলেনঃ হিরণ মাঝি, হালিম খান ও দেলু মিঝি। বর্তমানে উদ্ধার হওয়া ৭টি গরুর মধ্যে ৫টি গরু জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এস আই সাইদুর রহমানের হেফাজতে রয়েছে। প্রকৃত মালিক না পাওয়ায় গরুগুলো নিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ বিপাকে রয়েছে বলেও জানা যায়। উল্লেখ্য, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে চাঁদপুর শহরের ৯নং ওয়ার্ড মাঝি বাড়ী সংলগ্ন আশে পাশের কয়েকটি বাড়ী থেকে ৭টি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়েছে। ১৬ নভেম্বর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই সাইদুর রহমান সঙ্গিয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে গরুগুলো উদ্ধার করে। ডিবি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গরুচোর সিন্ডিকেট চক্ররা পালিয়ে যায়। এ সিন্ডিকেট গরু চোর চক্রের মুল হোতা হচ্ছে মনির হোসেন গাজী অরফে কাঠ মনির। সে তার পালিত চোর চক্রের সহায়তায় উদ্ধার হওয়া ৭টি গরু চরাঞ্চল থেকে চুরি করে আনে। এরমধ্যে ২টি গরু স্থাণীয় মাঝি বাড়ী এলাকার দেলু মিজির সহায়তায় মহারাজ নামের এক ব্যাক্তির কাছে ২টি গরু ৬০ হাজার টাকা বিক্রি করে। পরবর্তিতে মহারাজ ঐ গরু ২টি ১০ হাজার টাকা লাভে ৭০ হাজার টাকায় শহীদ গাজীর কাছে বিক্রি করে। এছাড়াও হাজীগঞ্জের দেলু নামের একজনের মাধ্যমে ১টি গরু স্থানীয় অসহায় ইদ্রিস নামের এক ব্যাক্তির কাছে অপর ১টি গরু আনু ছৈয়ালের কাছে মোট ৪০ হাজার টাকা বিক্রি করে। এছাড়াও সিন্ডিকেট চক্রের আরেক সেদস্য সেলিমের কাছ থেকে তাজল নামে স্থাণীয় এক ব্যাক্তি একটি গরু ক্রয় করে। ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছৈয়াল বাড়ীর আনু, এবং আবুর খামার থেকে আরো ২টি চোরাই গরু উদ্ধার করে। এভাবে দীর্ঘ ৩ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে মোট ৭টি গরু উদ্ধার করা হয়। আন্তজেলা গরু চোর চক্রের একটি শক্তিশালি সিন্ডিকেট চক্র দীর্ঘদিন যাবত চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু চুরি করে বিক্রি করে আসছিল। এ চক্ররা বিশেষ করে রাজরাজেশ্বর, শরিয়তপুর, মেঘনার চরসহ আশেপাশের চরাঞ্চলে খেটে খাওয়া সাধারন মানুষের গরুগুলোর প্রতি অধিক টার্গেট করে চুরি করতো। তারা চরাঞ্চলের চোরাই গরু নিয়ে চাঁদপুর শহরের মাঝিবাড়ী সংলগ্ন নদী তীর দিয়ে নামিয়ে সিন্ডিকেট চক্রের মাধ্যমে আশে পাশের বিভিন্ন বাড়ীসহ জেলার নানা স্থানে বিক্রি করতো বলে জানাযায়।