রফিকুল ইসলাম বাবু ॥
চাঁদপুর শহরে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়েছে অসংখ্য প্রাইভেট হাসপাতাল। আর এসব হাসপাতালে ডিগ্রিধারী ডাক্তারের সংখ্যাও কম। কিন্তু হাসপাতালের দেয়াল ও আশাপাশে অনেক ডাক্তারে নাম সম্বলিত সাইনবোর্ড ঝুলানো রয়েছে। এসব প্রাইভেট হাসপাতালে প্রতিনিয়তই চিকিৎসকের ভুলের কারণে রোগীর জীবন বিপন্ন হচ্ছে। চাঁদপুর শহরের হাজী মহসিন রোডস্থ ডাঃ মোবারক হোসেন চৌধুরীর মালিকানাধিন প্রিমিয়ার হাসপাতাল। এ হাসপাতালে গত ৫ জুলাই বুধবার বিকেলে চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২ নং চান্দ্রা ইউনিয়নের পাটওয়ারী বাড়ির মৃত শাহাদাতা পাটওয়ারীর মেয়ে ২ সন্তানের জননী সকিনা বেগম (২৫) কে পিত্তথলিতেত পাথার অপারেশন করার জন্য ভর্তি করানো হয়। রাতে ডাঃ মোবারক হোসেন চৌধুরী নিজেই সকিনার পিত্তথলিতে অস্ত্রপাচার করেন। এর কিছু সময়ের পর সকিনা বেগম মারা যায়। সকিানার স্বামী জিয়াউদ্দিন আহমেদ জানান, তার স্ত্রী সুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসক অস্ত্রপাচার করার সময় পিত্তথলি থেকে পাথর বের করতে গিয়ে পিত্তথলিটি কেটে ফেলে এমন অভিযোগ করেন। পরে তিনি একই কথা উল্লেখ করে পুলিশ সুপার শামসুন্নাহারের কাছে বিচার চেয়ে আবেদন করেন। বিষয়টি তদন্তের ভার দেওয়া হয় জেলা গোয়েন্দাপুলিশের অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন মজুমাদারকে। আলমগীর হোসেন মজুমতার উপ-পরিদর্শক আহসানুজ্জামান লাবু সহ দুপুরের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শ করেন। রাজশাহীর জিয়াউদ্দিনের সাথে ৮ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে সকিনার বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে তারা ঢাকায় বসবাস করতো। সকিনার চিকিৎসা করানো ও বাপের বাড়িতে ঈদ উদ্যপনের জন্য সকিনা চাঁদপুরে এসেছিল। এই পরিবারের আরো দুই কন্য হাসপাতালে অস্ত্র পাচারের মাধ্যমেম সন্তান জন্মদিয়েছে। সেসুবাদে সকিনাকে এখানে আনা হয়েছি। পরবর্তীতে চাঁদপুর সদর উপজেলর পরিষদ চেয়ারম্যান দেওয়ান মোঃ শফিকুজ্জামান, ১২নং চান্দ্রা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খানজাহান আলী কালু মজিবুর রহমান ফরহাদসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ চিকিৎসক ও মৃতের পরিবারের সাথে দীর্ঘ সময় আলোচনা করে বিষয়টি মিমাংশ করা হয়।