স্টাফ রিপোর্টার।। চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নং লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়নের বহরিয়া বাজারে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঙ্গর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বিকেল ৫টায় বহরিয়া বেড়ি বাঁধ রাস্তার উপর সাবেক চেয়ারম্যান মনা খাঁনের ছেলে কামালের দোকানের সামনে প্রথম ঘটনার সূত্রপাত ঘটে।
দুই গ্রুপের হামলার ঘটনায় প্রায় অর্ধ শতাধীক লোক আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
জানা যায়, ১০ নং লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মাছ ব্যবসায়ী ছলেমান মাঝির ছেলে সাগর মাঝি(১৮) বহরিয়া মিজানের দোকানে চা খেতে আসে। পরে কামালের তেলের দোকানের সামনে দাঁড়ালে ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খাঁনের বড় ছেলে শান্ত মোটরসাইকেল চালিয়ে এসে ছলেমান মাঝির ছেলে সাগর মাঝির গায়ের উপর উঠিয়ে দেয়।
এই ঘটনা নিয়ে দুই জনের মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটে। এর পরেই শুরু হয় আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঙ্গর্ষ। বিকেল ৫টা থেকে শুরু করে রাত ৮ টা পর্যন্ত বহরিয়া বাজারে এই সংঙ্গর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষের প্রায় অর্ধশত লোক আহত হয়েছে।
বহরিয়া বাজারের প্রায় শতাধীক দোকানের শাটার ভাংচুর করে। পরে হামলাকারিরা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মাছ ব্যবসায়ী ছলেমান মাঝির শ্রীরামপুরের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।
খবর পেয়ে মডেল থানার পুলিশ, ডিবি পুলিশ, পুরানবাজার ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
এই ঘটনায় আওয়ামীলীগের সেতারা জানায়, নির্বাচনকে সামনে রেখে এই হামলার ঘটনা খুবুই দুঃখজনক। এতে করে বিএনপির লোকজন সাহস পেয়ে এলাকায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে। আমরা আর রক্ষ দেখতে চাইনা। এর সমাধান চাই।
চাঁদপুর সহকারি পুলিশ সুপার সদর সার্কেল জাহেদ পারভেজ চৌধুরী জানায়,
বহরিয়া বাজারে দুই গ্রুপের সংঙ্গর্ষে পুলিশ সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
শিরোনাম:
শনিবার , ১২ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৭ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।