রফিকুল ইসলাম বাবু॥ চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের ঘাসিপুর গ্রামের খান বাড়ীতে কুমারী মেয়ে ৪মাসের অন্তস্বত্তার খবরে এলাকায় তোলপাড়। গতকাল ঘটনাটি জানাজানি হলে একটি চক্র মেয়ে ও ছেলের পরিবারকে এলাকা থেকে অন্যত্র সরিয়ে ফেলেছে।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা ঘাসিপুরে বাল্য বিবাহ হবার ঘটনা জানতে পেরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেনকে অবহিত করলে তিনি তাৎক্ষনিক ঐলাকার ঘাসিপুরের চায়ের দোকানদার বিল্লালকে বিবাহ বন্ধের জন্য নির্দেশ দেন। সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, ঘাসিপুর (গোলাপ খান বাড়ীর) কামাল পাটওয়ারীর ভাগিনী (১৩) তাদের বাড়ীতে থেকে স্থানীয় জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীতে পড়াশুনা করতো। একই বাড়ীর মান্নান খানের ছেলে অটোরিক্সা চালক রাসেল (১৬) দীর্ঘদিন যাবৎ প্রেমের সম্পকের্র মাধ্যমে শারিরীক সম্পর্ক করায় শিশুটি ৪মাসের অন্তস্বত্তা হয়ে পড়ে।
কুমারী মেয়েটি কিভাবে অন্তস্বত্তা হলো এই বিষয়ে এলাকায় কানাঘুশা চলার পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতার উদ্যোগে তালবাহানা শুরু করে স্থানীয় কয়েকজন মাতাব্বর। এই ঘটনায় এলাকার ২নং ওয়ার্ড মেম্বার মনসুর ও কমিউনিটি পুলিশের জাকিরকে ইঙ্গিত করছে অনেকে। তারা সমাধানের উদ্যোগে বিষয়টি নিয়ে কালক্ষেপন করেছেন। সমঝোতার ঘটনায় অনেকে চায়ের দোকানদার বিল্লালের সম্পৃক্তার কথাও জানান। ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার সফিক ঘটনাটি পরে জানাতে পারেন, কে বা ক্ারা কুমারী অপগর্ভার বিষয়টি নিয়ে রফাদফার চেষ্টা করছে। এমনকি ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করতে ও অপগর্ভার বাল্য বিয়ে না পড়ানোর জন্যও বিভিন্নজনকে বলেছেন। ঘাসিপুর এলাকাবাসী কুমারী মেয়েটি কিভাবে অন্তসত্তা হলো, বিষয়টির সাথে কারা সম্পৃক্ত ও অবৈধ কাজের সমঝোতা গ্রহনকারীদেরকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান। এমনকি এই ঘটনায় এলাকায় যাতে কোনপ্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার সুত্রপাত না হয়, তার জন্য প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।