সংবাদদাতা
চাঁদপুর পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ড বাবুরহাটে ঢাকা-মতলব-বাবুরহাটগামী জৈনপুর এক্সপ্রেসে গভীর রাতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় গাড়ির ভেতরে ঘুমিয়ে থাকা বাসের হেলপার ইমন মারাত্মক আহত হন। আহত ইমন বর্তমানে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আগুনে তার শরীরের কানের ও মাথার কিছু অংশ পুড়ে গেছে এবং বাস থেকে লাফিয়ে পড়ার সময় পাঁজরে মারাত্মক আঘাত পায়। এ ঘটনাটি ঘটেছে ১৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাত প্রায় ২টা ৩০ মিনিটে।
জানা যায়, ঢাকা থেকে বাবুরহাটে আসা জৈনপুর এক্সপ্রেস (চট্ট মেট্রো-জ-১১-০৯৪৩) বাবুরহাট ফিলিং স্টেশনের সামনে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে পার্কিং অবস্থায় ছিলো। গাড়ি পরিষ্কার করে ড্রাইভার সুমন হেলপার ইমনকে গাড়িতে রেখে বাসায় চলে যায়। প্রতিদিনের মতো হেলপার ইমন গাড়িতে ঘুমিয়ে পড়ে। আর এ অবস্থায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা বাসে আগুন দেয়। ঘুমের মধ্যে শরীরে গরম উপলদ্ধি করতে পেরে চোখ খুলে ইমন দেখে গাড়ির ভেতরে ও চারপাশে আগুন জ্বলছে। প্রাণে বাঁচার জন্য সে তখন বাস থেকে লাফিয়ে পড়ে চিৎকার করলে আশপাশের দোকানের ভেতরে ঘুমিয়ে থাকা কিছু ব্যবসায়ী ঘুম থেকে উঠে গাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। বাসটি ততক্ষণে সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। গভীর রাতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসা আশপাশের ক�জন ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে গতকাল চাঁদপুর নিউজকে বলেন, বাজারের ডিউটিরত কোনো নাইট গার্ড চিৎকার শুনে কাছে ছুটে আসেনি। বাজারে নাইট গার্ড থাকতে এমন ঘটনা কীভাবে ঘটলো সে প্রশ্ন এখন সবার। দেশে রাজনৈতিক সহিংসতায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এমন বাসে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটলেও চাঁদপুরে এ ধরনের ঘটনা এই প্রথম। এতে সবাই হতবাক হয়ে যায়। রাজনৈতিক সহিংসতার বলি হতে হয়েছে বাস মালিককে। শান্তিপ্রিয় বাবুরহাটে এ ধরনের ঘটনা কারা ঘটিয়েছে তার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বাবুরহাট বাজারের ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী। পাশাপাশি বাবুরহাটে তথা বাবুরহাট বাজারে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম পুরোদমে চালু করতে এবং ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ টহল অব্যাহত রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন বাবুরহাট বাজারের ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী।