
রফিকুল ইসলাম বাবু।
চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের গুলিশা গ্রামের রাজ বাড়ির নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে আবু তালেব মিয়াজীর পরিবার। আদালতের মাধ্যমে রায় পাওয়ার পর চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ তাদের সম্পদ বুঝিয়ে দেন। সম্পদ বুঝে পাওয়ার পর সিমানা প্রাচীর দেওয়ায় আবু তালেবসহ ৫জন কে গত ২৯ মার্চ রোববার দুপুরে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাতের মাধ্যমে রক্তাক্ত জখম করে এবং সিমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ বিষয়ে আবু তালেব মিয়াজী গত ১লা এপ্রিল বাদি হয়ে আবুল হোসেন বেপারীকে প্রধান আসামী করে ১১ জনের বিরুদ্ধে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং- ০১। আহতরা হলেনঃ মোঃ আবু তালেব মিয়াজী (৬০), তার স্ত্রী সাজিদা বেগম (৫০), ছেলে উজ্জ্বল, ভাতিজা ইউনুস মিজি (৩০), তার স্ত্রী মারুফা বেগম (২৫)। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিস মামলার ( ৬০/১২ খ্রিঃ) স্বারক নং- (১৩০, ২০/১০/২০১৯ ইং) এর আদালতের আদেশে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ কে বাদী আবু তালেব মিজিকে ‘খ’ তফসিলের ভুমি বুঝাইয়া দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করে। পরে আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে উল্লেখিত স্বাক্ষীগনের উপস্থিতিতে চাঁদপুর মডেল থানার এস আই (উপ পরিদর্শক) বিপ্লব চন্দ্র নাহা বাদী আবু তালেব মিজি কে ২০১৯ সালের ১৬ নভেম্বর খ তফসিলের ভূমি বুঝিয়ে দিয়ে আদালতের বরাবর একটি লিখিত প্রতিবেদন প্রদান করেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আবু তালেব মিয়াজীর বসতঘরের সামনে পরিবারের লোকজনের উপর গত ২৯ মার্চ রোববার বিবাদী আবুল হোসেন বেপারীসহ অন্যান্য আসামীরা লোহার রড, বাঁশ, লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে করে আবু তালেব মিয়াজীসহ মোট ৫জন গুরুত্বর আহত হয়। বিবাদীরা তাদের সিমানা প্রাচীর, বসতঘর ভাঙচুর করে। এ সময় বিবাদিরা প্রায় ৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। এর পূর্বেও সম্পত্তিগত বিরোধের জেরে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি মামলা চলমান রয়েছে। যার নং ৪৭০/১৭। বাদী আবু তালেব মিয়াজী জানায়, বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। বিভিন্নভাবে আমাদেরকে প্রান নাশের হুমকী ধমকী প্রদান করা হচ্ছে। আমার পরিবারের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছি।