রফিকুল ইসলাম বাবু।
চাঁদপুর শহরের ৭নং ওয়ার্ডের বড় স্টেশন ক্লাব রোড বস্তিতে দিন দিন মাদক বিক্রি বেড়ে চলছে। দীর্ঘদিন যাবত ঐ এলাকায় কয়েকটি পরিবার মাদক বিক্রি করে আসছে।আবার পুলিশের কাছে তাদেরকে আটক ও করেছে বহুবার। তাদের মাদক বিক্রির কারণে এলাকার শত শত পরিবার সামাজিক অবক্ষয়ের বদনামের শিকার। কেউ প্রতিবাদ করলে গাঁজা ইয়াবা দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয় এবং ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। সরজমিনে ঐ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ক্লাব রোডের পেছনে মাদক বিক্রেতা শিল্পি বেগম ও তার স্বামী আনোয়ার হোসেন বেপারী এবং তাজু ও তার স্ত্রী কুলছুমা এবং মেয়ে তাছলিমা গাঁজা বিক্রি করছে। সেখানে ভাসমান কয়েক যুবক ইয়াবা বিক্রি করে বলেও অভিযোগ উঠেছে। তাজু মিয়ার রেলওয়ে পুকুর পাড়ে ২টি অটোরিক্সার গ্যারেজ রয়েছে। ক্লাব রোডের বাসা ও গ্যারেজের আশপাশে মূলত গাঁজা বিক্রি হয়ে থাকে। আনোয়ারের স্ত্রী শিল্পি বেগম, আনোয়ার হোসেন বেপারী, তাজু, কুলছুমা ও তাছলিমা নিজেদের বাড়িতে এবং রাস্তায় হাঁটা চলার নাম করে মাদক সেবনকারীদের হাতে শরীরের অংশে রাখা মাদক সরবরাহ করছে। দিনে এবং সন্ধ্যার পর অধিকাংশ সময় কুলছুমা, তাছলিমা ও শিল্পি বেগম রাস্তার উপর বিভিন্ন অজুহাতে রাস্তায় বিচরণ করে। মূল উদ্দেশ্য মাদক সেবনকারীদের ইঙ্গিত পেয়ে গাঁজা নিয়ে তাদের কাছে পৌঁছে দেয়া। রেলওয়ে পোস্ট অফিসের সামনে, পাশের রেল দিঘির ঘাটলায়, মাদ্রাসা রোডের মাথায়, মসজিদের পাশে এবং রেলওয়ের বড় দিঘির ঘাটলার আশপাশে তারা বিচরণ করে মাদক বিক্রির জন্য। অনেক সময় ক্লাবরোড রাস্তায় ঢুকে বাড়ি থেকে মাদক সরবরাহ করে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আমরা বার বার নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা মাদক বিক্রি বন্ধ করছে না। এখন পরিস্থিতি এমন হয়েছে পরিবার পরিজন নিয়ে সেখানে কারো বসবাস করার মত নয়। মাদকের বদনাম নিয়ে আমাদেরকে বসবাস করতে হচ্ছে। মাদক বিক্রির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে সামাজিক ও আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ। তা না হলে এলাকার তরুণ ও যুব সমাজকে আমরা রক্ষা করতে পারবো না। হাঁটা চলার মধ্য দিয়ে তারা প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করছে। তাদেরকে কে পাহারা দিবে।