রফিকুল ইসলাম বাবু ॥
নদীতে মাছ শিকার করতে গিয়ে বেঁদে পরিবারের হামলায় সেকান্দর খান (৩০) নামে ওপর বেঁদে পরিবারের এক যুবক গুরুতর আহত হয়ে ১১দিন যাবৎ হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যু যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন। আহত যুবক চাঁদপুর শহরের প্রেসক্লাব ঘাটের বেঁদে পল্লীর সুলতান খানের ছেলে।
তাদের আঘাতে সেকান্দর খানের মাথার এক পাশ রক্তাক্ত জখম হলে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্মরত চিকিৎসক তার অবস্থা আশংকা জানক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে তার মাথার অপারেশন করে পাঁচদিন চিকিৎসা সেবার পর পুনরায় তাকে আবার চাঁদপুরে প্রেরন করা হয়। তার অবস্থা এখনো অনেকটা গুরুতর বলে জানা যায়। তার স্বজনরা জানায়, এ হামলার কারনে সেকান্দরের শরীরের একাংশ প্রায় পঙ্গু হয়ে গেছে। তার মাথায় ৩০টি সেলাই লেগেছে। তার অপরাধ কেনো সে অন্য বেঁদে মেঘনা নদীর সবজী কান্দি এলাকায় মাছ শিকার করতে গেছেন। আর এ অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৫ জুন বিকেলে মতলব উপজেলার আমিরাবাদ সবজি কান্দি এলাকায়। বেঁদে পরিবারের লোকজন জানায় ওই সেকান্দর মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করার জন্য গেলে মতলব আমিরাবাদ এলাকার বেঁদে পল্লীর নুরু সওদাগরের ছেলে স্বপন সওদাগর তাকে সেখানে বরশি ফেলতে ভারন করেন। সেকান্দর তার ভারন না মেনে নদীতে বরশি ফেলতে চাইলে সে তার সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হন। তার এক পর্যায় স্বপনের ভাই রিপন সওদাগর, কালু সওদাগরের ছেলে আব্বাস সওদাগর, নুরু সওদাগরের মেয়ে ডলি আক্তার ও আমির সওদাগরের স্ত্রী পাখি বেগমসহ তাদের অন্যান্য স্বজনরা বাঁশ লাঠি দিয়ে সেকান্দরকে খানকে এলোপাতারি আঘাত করে। এতে সে মৃত্যুময্যায় ঢলে পড়লে স্বজনরা তাকে মূমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারা আরো জানায়, সেকান্দরকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে অভিযুক্তরা সেকান্দরের স্ত্রী শাবনুর বেগমকে বাড়িতে একা পেয়ে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে তাকে অনেক মারধর করে। বর্তমানে সে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।