চাঁদপুরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য, মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ৭ম স্থান অর্জন করেও সানজিদা আক্তার বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পেরে বঞ্চিত হচ্ছে। তার ভর্তি পরীক্ষার এডমিট কার্ডে রোল নং ৬১০০০৪৪। গতকাল বৃহস্পতিবার সানজিদার পিতা-মাতা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমারের নিকট ভর্তি পরীক্ষার ফরম সংগ্রহ করতে এসে বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখিন হয়ে বাড়ি ফিরে যেতে হয়েছে। এ ঘটনায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটির আনন্দ ধুলিসাৎ হয়ে পরিবারের সদস্যরা হতাশার মধ্যে রয়েছে। সানজিদা ভর্তি হতে না পেরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তহীনতায় সানজিদার জীবনে নেমে এসেছে কালো মেঘের ছায়া।
সানজিদা পরিবার ও বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, চাঁদপুর শহরের উত্তর শ্রীরামদী ভূইয়া বাড়ির বাসিন্দা ব্যবসায়ী মোঃ সেলিম বেপারীর মেয়ে সানজিদা আক্তার, শহরের মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষায় দেয় গত ২৬ ডিসেম্বর। সে মতে গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মেধা অনুযায়ী নামের তালিকা বিদ্যালয় বিজ্ঞপ্তি বোর্ডে টানিয়ে দেয়। তালিকা অনুযায়ী সানজিদা মেধা তালিকায় ৭ম স্থান অর্জন করে। তার ভর্তি পরীক্ষার এডমিট কার্ডে রোল ছিল ৬১০০০৪৪। গত ৩০ ডিসেম্বর থেকে বিদ্যালয়ে ভর্তি ফরম দেওয়া হয়। আগামী ৪ জানুয়ারি ভর্তি হওয়ার শেষ তারিখ। গত দুইদিন যাবত সানজিদার অভিভাবক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে তার এডমিশন কার্ড নিয়ে ভর্তি ফরম উঠাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়। সানজিদার পিতা মোঃ সেলিম বেপারী জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার সাহা তাকে ও তার স্ত্রীকে ভর্তি ফরম না দিয়ে বিভিন্ন বিভ্রান্তী মূলক প্রশ্ন করে বিদ্যালয় থেকে ফিরিয়ে দেয়। এছাড়া তিনি বিদ্যালয়ে টানিয়ে দেওয়া রেজাল্ট শীটের ভুলক্রমে তার নাম মেধা তালিকায় ৭ম স্থানে রয়েছে জানান। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমারের সাথে যোগাযোগ করলে সে জানায় মন্ত্রণালয় থেকে রেজাল্ট শীটে অনলাইনে ভুল করেছে। জেলা প্রশাসকের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি কি করা যায় তা দেখবেন। তাকে ভর্তি করানো হবে না তা বলা হয়নি। এছাড়া এক পর্যায়ে তিনি এ প্রতিনিধির সাথে অসাধু আচরণ করে ফোন লাইনটি কেটে দেন। উল্লেখ্য, এ বিষয়টি ছাড়াও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিভাবকের অসাধু আচরণসহ ভর্তি বাণিজ্য নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। বিগত কয়েকদিন পূর্বে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশের পর মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে চাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উদয়ন দেওয়ান বিষয়টি তদন্ত করছেন বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান।