চাঁদপুরে ওয়েন ইলেভেনের পর থেকেই চোরা কারবার বন্ধ ছিল। বেশ কয়েক বছর পর চাঁদপুর জেলায় চোরাকারবারিরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে নদী চোরা কারবারিরা জাহাজ থামিয়ে খনিজ সম্পদ ও ভারত থেকে আমদানিকৃত খাদ্য সামগ্রী রপ্তানি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইদানিং চাঁদপুর মেঘনা নদীতে সপ্তাহ ব্যাপী ৩-৪বার নৌ পথে চোরাই খেকোরা তাদের ব্যবসা জমজমাটভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। আর তাদের ব্যবসা চালাচ্ছে পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, শহরের যমুনা রোডের ইউসুফ মিজি, জামতলা রোডের মোঃ রুহুল আমিন, যমুনা ঘাট এলাকার বাচ্চু বেপারী সহ আরো কয়েকজন নামদারি বিচাররা রাতের অন্ধকারে পেট্রোল, অকটিন, ডিজেল, ভারতীয় চিনি, জিরা ও গম সহ বিভিন্ন অবৈধ প্রসাদনী নদীর মাঝপথ থেকে জাহাজ থামিয়ে ইঞ্জিল চালিত ট্রলারযোগে শহর মেঘনা নদীর পাড়ে এনে হাত বদলে দিচ্ছে পাইকারী দলের ঐ সমস্ত পাইকাররা ৩/৪ রাত্রি চোরাই মালামাল আমদানি করে পশ্চিম আলুর বাজার, ডামুড্ডা, মাইঝের চর এলাকা থেকে। এরা লক্ষ লক্ষ টাকা মালামাল চোরাই পথে আমদানি করে পুরানবাজারে অজাল প্রধানিয়ার গাল কাটা আলি ও ইউসুফসহ আরো কয়েকজন হাতে বিক্রি করে দিচ্ছে বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। এদের সাথে আরো কয়েকজন ছিচকে চোরাকারবারি সম্পৃক্ত হয়ে অবৈধ ব্যবসা গড়ে তুলে নিজেদের অর্থের অট্রালিকা পাহাড় করছে। আর তাদের সহযোগিতা করার স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা। এদিকে আরো জানা যায়, প্রতি ব্যারেল টাকা ফি দিতে হয় পুলিশ প্রশাসনকে। এছাড়া চিনি বসআ প্রতি ৩শ টাকা, জিরা বস্তা প্রতি ৫শ টাকা মাশোয়ারা দিয়ে নিজেদের অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন। কোস্টগার্ডের অভিযানে পুরানবাজার ১নং খেয়াঘাট থেকে অবৈধ তেল সহ চোরাইকৃত ব্যারেল আটক করা হয়। কিছু দিনের জন্য ঐ সমস্ত চোরাকারবারিরা ঈদের পর থেকেই এখনো সক্রিয়ভাবে নৌপথে অবৈধ চোরাই মাল আমদানি করেছে। খোজ খবর নিয়ে জানা গেছে, পুরানবাজার ফাড়ির পুলিশ ও নৌ ফাড়িতে ম্যানেজ করে মেঘনা ও ডাকাতিয়ার পাড়ে আমদানি চোরাই মাল রেখে বাজারজাত করেছে রাতের অন্ধকারে। প্রতি সপ্তাহে ৩/৪ দিনের মধ্যে আনুমানিক ৫০-৬০ লক্ষ টাকা অবৈধ চোরাইকৃত মালামাল আমদানি ও রপ্তানি হচ্ছে। এছাড়া উল্লেখযোগ্য পাইকাররা চাঁদপুর জেলা থেকে শরীয়তপুরের এলাকায় কিছু চোরাকারবারির কাছ থেকে অগ্রীম কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে রাতের অন্ধকারে মাঝ নদীতে চোরাইকৃত সক্রিয় মালামাল পাচার করে দিয়েছে, বিনিময়ে পাচ্ছে হাজার হাজার টাকা। এমনিভাবেই চাঁদপুরের চোরাই খরিদ্দারদের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ নৌ পথে অবৈধভাবে সরকারের চোখ ফাকি দিয়ে চোরাইকৃত মালামাল ক্রয়-বিক্রয় চলছে, এই বিষয়টিতে করা নজরদারি করা হোক।
শিরোনাম:
আরও সংবাদ
বন্যা দুর্গতদের মাঝে জেলা প্রশাসকের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
শাহরাস্তি (চাঁদপুর): চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেছেন... বিস্তারিত
ফেইক নিউজ! পাঠকদের বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ।
অনলাইন চাঁদপুর নিউজ যা www.chandpurnews.com এবং facebook.com/onlinechandpurnews এই দুটি লিংক হতে প্রচারিত হয়। যেখানে ফেসবুক এ... বিস্তারিত
শ্রমজীবীদের মাঝে স্যালাইন ও পানি বিতরণ করলেন চেয়ারম্যান…
সারাদেশ জুড়ে চলমান তীব্র তাপদাহের মধ্যে ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাবুরহাটের মতলব রোড ও চাঁদপুর... বিস্তারিত
ফরিদগঞ্জে কুকুর বাঁচাতে গিয়ে মারা গেলেন অটোচালক
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে কুকুরকে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের দেয়ালে ধাক্কা লেগে... বিস্তারিত
বিশ্ব ইজতেমায় ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ মালয়েশিয়ান ইবিট লিও
টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেন, মালয়েশিয়ার ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ ইবিট লিও। বিশ্ব... বিস্তারিত
পেঁয়াজের দাম বাড়ল কেজিতে ২০-৩০ টাকা
দেশে আগাম জাতের মুড়িকাটা পেঁয়াজ এরই মধ্যে ঘরে তুলেছেন কৃষক। মূল মৌসুমের পেঁয়াজ বাজারে আসতে... বিস্তারিত
রমজান মাসে প্রাথমিকে ক্লাশ ১০ দিন, মাধ্যমিকে ১৫…
আগামী রমজান মাসের প্রথম ১০ দিন দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খোলা রাখার সিদ্ধান্ত... বিস্তারিত
পরকীয়ায় নাশ সংসার
দেশে বিয়ের হার বৃদ্ধির পাশাপাশি বিবাহবিচ্ছেদ বা তালাকও বেড়েছে। বিবাহবিচ্ছেদের প্রধান দুটি... বিস্তারিত
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।