রফিকুল ইসলাম বাবু ॥
ব্যাপক পুলিশি প্রহরায় গ্রামের বাড়ী চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নের বকশি পাটওয়ারী বাড়ীতে জঙ্গি শরীফ শাহিদুল আলম বিপুলের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা ৩৫ মিনিটে বকশি পাটওয়ারী বাড়ি প্রাঙ্গনে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা পড়ান সদরের মধ্য তরপুরচন্ডী আলী দাখিল মাদরাসার সহকারী সুপার মাওলানা হেলাল উদ্দিন পাটওয়ারী। জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। ভোর সাড়ে ৪টায় ৩০ মিনিটে তার মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর দুটি গাড়ী বাড়ীতে পৌঁঁছায়। তার মরদেহ কারা রক্ষীদের কাছ থেকে স্বাক্ষর দিয়ে গ্রহন করেন পিতা হেমায়েত উদ্দিন পাটওয়ারী। নামাজে জানায়া মৈশাদী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মানিক, বিপুলের চাচা বাচ্চু পাটওয়ারী, কমিউনিটি পুলিশিং ইউনিয়ন সেক্রেটারী জাকির হোসেন বেপারীসহ বাড়ীর লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উদয়ন দেওয়ান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আফজাল ও ডিআইওয়ান মনিরুজ্জামান মরদেহ দাফন করা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী গ্রামের হেমায়েত হোসেনের বড় ছেলে শরীফ সাহেদুল আলম বিপুল গত ১০ বছর আগে সর্বশেষ গ্রামের বাড়িতে আসে । বিপুল তার স্ত্রী ও এক ছেলে সন্তান নিয়ে সিলেটে স্থায়ীভাবে বসবাস করতো বলে জানিয়েছে তার বাবা । তাদের সাথে বিগত কয়েক বছর তেমন কোন যোগাযোগ ছিল না । তিনি জানান, সিলেটের এম সি কলেজ থেকে ¯œাতক পাশের পর সেখানেই ঠিকাদারী ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল । সিলেটের মেয়ে রুমি বেগমকে বিয়ে করে সেখানেই সংসার শুরু করে । চাঁদপুরের সদর উপজেলার মৈশাদী বকসী পাটওয়ারী বাড়ি তাদের। তার ২ ছেলে, ২মেয়ে। বিপুল ছেলেদের মধ্যে বড়। বড় মেয়ে স্বামী সন্তান নিয়ে এখন লন্ডনে বসবাস করছে। বড় মেয়ের জামাই রফিকুজ্জামান হিলালী দেশে থাকতে ২০০১ সালে নেত্রকোনা বিএনপির হয়ে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়। ছোট ছেলে শিমুল বর্তমানে দেশেই থাকে।তিনি সিলেট ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানায় চাকুরী করতো। সেখানেই বিপুলের জন্ম হয়। বিপুল সিলেট এমসি কলেজে ডিগ্রি পাস করে মাস্টাস প্রথম পর্ব পড়াশোনা করতো। এ অবস্থায় ১৯৯৯সালে বিপুলকে চাকুরীর জন্য লিবিয়ায় পাঠানো হয়। কিন্তু সে লিবিয়ায় না গিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। তারপর থেকেই পরিবারের সাথে তার আর যোগাযোগ বা সম্পর্ক নেই। তবে তারা জেনেছে বিপুল তাদের অজান্তে সিলেটে বিয়ে করেছে এবং তাদের ১ ছেলে আছে। বিপুলের জঙ্গীবাদের এই খবর জেনে তারা নিজেরাই ক্ষিপ্ত। বিপুলের পিতা তার লাশ গ্রহণ করতে চাইনি বলে সাক্ষাত করেননি। তারা বিপুলকে চাঁদপুরে মাটি দিতেও চায়নি।