শহর প্রতিনিধি=
চাঁদপুর পৌর এলাকার রঘুনাথপুরে আবারো আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ, বাড়ি-ঘরে হামলা, লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৫নং ওয়ার্ডের গাজী বাড়ীর নজরুল গাজীর ছেলে যুবলীগ কর্মী শাকিল গাজী(২০)কে এলাকার বিএনপি কর্মী তার ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক মাটিতে ফেলে তার লিঙ্গ কর্তন করে দেয়।
আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল গাজী জানান, পূর্বের সংঘর্ষের ঘটনার জের ধরে বিএনপির ছেলেরা আওয়ামী লীগের অফিসে প্রথম হামলা করে পরে আমার বাড়িতে আক্রমণ চালায়। দুপুরে ভাত খাওয়া অবস্থায় তারা আমার ভাই ও ছেলের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। অপরদিকে ক্ষতিগ্রস্ত শফিকুর রহমান লোকালের মেয়ে পান্না (২৫) জানান, আমার ভাই সাঈদ ছাত্রদল করে। তার উপর হামলা করবে বলে বাড়ির সামনে হুমকি-ধমকি দেয়। ভাইকে আমরা অন্যত্র পাঠিয়ে দেই। আজ (গতকাল) ২টার দিকে একদল ছেলে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়ি কোপাতে থাকে। তারা ঘরের ভেতরে ঢুকে আসবাবপত্রসহ মূল্যবান জিনিসপত্র তছনছ করে। হামলাকারীরা ব্যাপক লুটপাট চালায়। পান্না আরো জানান, হামলারকারীরা তাদের দোকানে গিয়ে হামলা করে এবং বৃদ্ধ বাবাকে মারধর করে। হামলাকারীরা বাসা ও দোকান থেকে কম্পিউটার, স্বর্ণালঙ্কার এবং নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে যায় বলে তিনি জানান। একই সময় রজব আলী মাস্টার বাড়িতে গিয়ে ছাত্রলীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা বিএনপির ফরিদ মিয়া কালুর বসতঘরে হামলা চালায়। এছাড়া রঘুনাথপুর বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বিল্লাল জানান, তার দোকানসহ হামিদের চায়ের দোকান, সম্রাটের পান দোকান ও কাদের খানের তরকারি দোকানে হামলা চালায় ছাত্রলীগের ছেলেরা। সফিক মিয়াজীর বাড়িতে হামলার ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পুলিশ ও বিজিবি টহল দিয়ে চলে যাবার পর আওয়ামী লীগের লোকজন এই বাড়িতে হামলা করে।
এদিকে এসব ঘটনার খবর পেয়ে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র নাছির উদ্দিন আহামেদ, চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব মোর্শেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী ওচমান গণি পাটওয়ারী, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান কালু ভূঁইয়া, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সালাউদ্দিন মোঃ বাবর, যুবলীগ নেতা মোঃ আলী মাঝিসহ নেতৃবৃন্দ রঘুনাথপুর বাজারে ক্ষতিগ্রস্ত আওয়ামী লীগ অফিস ও নজরুল গাজীর বাড়ি পরিদর্শন করে ঘটনার বিস্তারিত জানেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৫নং ওয়ার্ড ভাঙ্গারপুল থেকে রঘুনাথপুর বাজার ও ওয়াপদা চৌরাস্তা এলাকা থমথমে ভাব বিরাজ করছে।