রফিকুল ইসলাম বাবু
শূন্যতার কারনে যে কোনো সময় অকালে ঝরে যেতে পারে জময দুটি শিশুর তাজা প্রাণ। তারা দুজন একই মা- বাবার সন্তান। রক্ত হলে বাঁচবে তাদের জীবন আর রক্ত না হলে যে কোনো দিনই তারা পৃথিবীর আলো ছেড়ে চলে যাবে ওপারে। দাতব্যদের রক্ত সহায়তার ওপর সৃষ্টিকর্তা রেখেছেন তাদের দু’ভাইয়ের জীবন। চিকিৎসকদের ভাষায় এটিকে থেলাসেমিয়া রোগ বলা হয়। এরা হলেন, চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাখির খানের জময দুই শিশু সন্তান মেহেদী হাসান ও মমিন হোসেন। তাদের দু’জনের বয়সই ৬ বছর। তাদের মাতা মিনু বেগমের সাথে আলাপকালে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, ‘তারা জময দু’ভাই জম্মের দেড় বছর বয়সের পর থেকে থেলাসিমিয়া (রক্ত শূন্যতা) রোগ ধরা পড়ে। আর এ রক্ত শূন্যতায় তাদের দুজনের শরীরে প্রতিমাসে ও’ পজেটিভের একব্যাগ করে রক্ত দিতে হয়। মিনু বেগম জানায় ‘প্রতিমাসে তাদের দু ভাইয়ের জন্য রক্ত সংগ্রহ করতে গিয়ে তাদেরকে অনেক বিপাকে পড়তে হয়।’ চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি জানান, ‘যতোদিন তারা বাঁচবে এভাবেই রক্ত দিয়ে করে তাদেরকে বাঁচাতে হবে, আর প্রতিমাসে নিয়মিত তাদের শরীরে রক্ত প্রয়োগ করাতে না পারলে তাদের খাওয়া-দাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে এবং সমস্ত শরীর সাদা হয়ে যে কোনো সময়ই তারা মারা যাবে। প্রতিমাসে এ দুই সন্তানের জন্য রক্ত প্রয়োজন করতে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় তাদের বাবা মায়ের। যদি কোন ব্যাক্তি সেচ্ছায় রক্ত দিতে আগ্রহ প্রকাশ করে তাহলে ০১৭৪৯২০১৮৩৪, অথবা ০১৭২৭৭৯৬৩৪৮ এই নম্বরে যোগা করার জন্য অনুরোধ পরিবারের। এ রোগ সম্পর্কে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আর এম ও ডা.আসিবুল আহসান চৌধূরীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, ‘বিয়ের আগে এবং পরে নারী-পুরুষের যে কারো যৌন সমস্যা থাকলে তাদের সন্তানদের থেলাসিমিয়া রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। স্বামী-স্ত্রীর মেলামেশার ক্ষেত্রে অসচেতনতার কারণেও অনেক শিশু সন্তানদের এমন রোগ দেখা দেয়।’তাঁর মতে এটিকে জিনগত রোগ বলা হয়, কিংবা বংশগত ও জন্মগত কারণে এমন রোগে শিশুরা আক্রান্ত হয়।’এ রোগের করণীয় সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এ রোগ থেকে বাঁচার উপায় হলো স্বামী স্ত্রী মেলাশোর সময় সর্তক থাকতে হবে। যদি কারো প্রথম সন্তান থেলাসিমিয়া রোগে আক্রান্ত হলে তাদেরকে মেডিকেল চেকআপ করাতে হবে তাহলেই এমন রোগ থেকে শিশুরা রক্ষা পাবে।