শাহরিয়ার খান কৌশিক ॥
হাজীগঞ্জ উপজেলার টোরাগড় গত ৭ জানুয়ারি চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কে বিএনপি ও জামায়াত শিবিরের কর্মীরা প্রায় অর্ধশত গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। সেই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ পৌর কাউন্সিলর আবুল কাশেম, থানা যুবদলের ১নং যুগ্ম আহবায়ক আলী আকবর মিয়া ও পৌর যুবদলের ১নং যুগ্ম আহবায়ক বিল্লাল হোসেন পাটওয়ারী সহ কয়েক শতাধিক নেতাকর্মীর বিরোদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার আসামীরা দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর অবশেষে ুহাজীগঞ্জ থানার ওসি শাহ আলম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে অভিযান চালায়। এ সময় পৌর কাউন্সিলর আবুল কাশেম, থানা যুবদলের ১নং যুগ্ম আহবায়ক আলী আকবর মিয়া ও পৌর যুবদলের ১নং যুগ্ম আহবায়ক বিল্লাল হোসেন পাটওয়ারী আটক করার পর গতকাল সোমবার তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করে। হাজীগঞ্জ থানার ইনচার্জ শাহআলম জানায়, আটককৃতদেও ৩ টি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। হাজীগঞ্জ থানায় জামায়াত শিবির ও বিএনপির বিরুদ্ধে যে সকল মামলা হয়েছে তাদেরকে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার লক্ষে ও নাশকতা ঠেকাতে অবরোধকারিদেও বিরুদ্ধে পুরিশের কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে। উল্লেখ্য হাজীগঞ্জ উপজেলার টোরাগড় গত ৭ জানুয়ারি থেকে শুরু করে বেশ কয়েকদিন
দফায় দফায় হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। ওইদিন পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৩শ’ ৪২রাবার বুলেট ও গ্যাস গান ব্যবহার করে। তারপরেও নাশকতা সৃষ্টি হওয়ায় হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ ১শ’ ৪৭ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় অবরোধকারীদের হামলায় বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় ১১টি মামলা দায়ের করে। সেই মামলার উল্লেখিত আসামীরা ঢাকায় গা ঢাকা দেয়। গত রোববার সন্ধ্যায় আলবোরাক লঞ্চ থেকে কাউন্সিলর সহ ৩ জন নামার পর সিএনজি উঠার সময় হাজীগঞ্জ থানার পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে।
শিরোনাম:
বুধবার , ৯ জুলাই, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২৫ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।