বিআই ডব্লিউটির কর্মকর্তাদের আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ
রশিদ না দিয়ে টাকা উঠিয়ে ভাগ বাটওয়ারা সরকারী রাজস্ব ফাকী দায়িত্ব অবহেলা বৈরাগত লোকদের দিয়ে টাকা আদায়
চাঁদপুর শহরের মাদ্রাসা রোড নতুন লঞ্চ টার্মিনালে পাকির্ং চার্জের টাকা সিএনজি ও অটো চালকদের কাছ থেকে উঠিয়ে ব্যাপক দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। টাকা উঠানোর রশিদ থাকলেও তা চালকদের না দিয়ে টাকা নিয়ে নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটওয়ারা করে নেওয়ার অভিযোগ করেছে তাদের বিরুদ্বে। গতকাল শনিবার দুপুরে লঞ্চ ঘাট এলাকায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিআই ডব্লিউটির দ্বায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা শুল্ক আদায় কারী মোক্তার আহাম্মেদের পার্কিং চার্জের টাকা উঠানোর জন্য দায়িত্ব দেওয়া হলেও তিনি লঞ্চ টার্মিনালের ভিতরে একটি কে বসে রয়েছে। বৈহিরাগত জামতলার বাবু ও ফরিদগঞ্জের কাদের নামে দু’জনের মাধ্যমে সিএনজি ও অটো চালকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছে। বৈরাগত এই দু’জন চালকদের কাছ থেকে পার্কিং চার্জ বাবদ ৫ টাকা করে নিলেও কাউকে কোন রশিদ দেয়নি। হাতে গুটি কয়েকটি রশিদ থাকলেও চালকদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা তাদের পকেটে ডুকাতে ব্যাস্ত থাকে। কিচ্ছুন পর পরি বিআই ডব্লিউটির শুল্ক আদায়কারী মোক্তার আহমেদ এসে তাদের কাছ থেকে টাকা তুলে পূনরায় তার জায়গায় গিয়ে অবস্থান করে। দীর্ঘ ১ ঘন্টা যাবৎ এই প্রতিবেদক লঞ্চ ঘাট এলাকার একটি চায়ের দোকানে অবস্থান করে তাদের টাকা উঠানোর দৃশ্য ক্যামেরা বন্ধি করে। ঐসময় বৈহিরাগত শুল্ক আদায়কারী দু’জন ছবি উঠানোর দৃশ্যটি দেখতে পেয়ে দ্রুত বিআই ডব্লিটিও ঐই কর্মকর্তা মোক্তার আহমেদকে গিয়ে খবর দেয়। সাথে সাথেই সে ঘটনাস্থালে এসে সাংবাদিককে মেনেস কারার চেষ্টা চালায়। এসময় তাকে পার্কিং চার্জে টাকা নিয়ে রিসিট না দেওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে সে কোন শদউত্তর দেয়নি। প্রতিদিন লঞ্চ ঘাটের প্রায় ২ হাজারের মত যান বাহন আসা যাওয়া করলেও ৫ টাকা করে যে হারে পার্কিং চার্জ উঠিয়ে বিআই ডব্লিউটির অফিসে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তারা যৎসামান্ন কিছু টাকা দিয়ে বাকী টাকা নিজেরাই ভাগবাটওয়ারা করে নেয়। দায়িত্বে থাকা ওই কর্মকর্তার কাছে প্রতিদিন পার্কিং চার্জ কতটাকা আদায় করা হচ্ছে, এবিষয় জানতে চাইলে সে বলেন গড়ে ১হাজার থেকে ১২’শ টাকা অফিসে জমা দেওয়া হয়। একটি সূত্র জানায়, প্রতিদিন মাদ্রাসা ঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা থেকে পার্কিং চার্জ বাবদ বিআই ডব্লিউটির কর্মকর্তারা গড়ে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা আদায় করছে। মাত্র হাজার থেকে ১৫’শ টাকা অফিসে জমা দিলেও বাকী টাকা বিআই ডব্লিউটির অসাধু কর্মকর্তারা নিজেরাই ভাগ বাটওয়ারা করে নিচ্ছে। এই অবৈধ ভাবে টাকা উঠিয়ে রিসিট না দেওয়ায় সরকার মোটা অংকের রাজস্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর বিআই ডব্লিউটির কর্মকর্তাদের আঙ্গুল ফুলে কলা গাছের মত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এছাড় বিআই ডব্লিউটির কর্মকর্তাদের যেই সকল যায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারা তাদের দায়িত্ব অবহেলা করে মাস শেষে সরকারের কাছ থেকে বেতন তুলে নিচ্ছে। বৈহিরাগত দের মাধ্যমে এভাবেই বিআই ডব্লিউটির দায়িত্ব হিন ভাবে বিভিন্ন কাজ করার কারনে জন মনে মিশ্র পতিক্রীয়া সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া তারা নদী থেকে বিভিন্ন মালবাহী ট্রলার, যাত্রীবাহী লঞ্চ, যাহাজ ও ছোট খাট নৌ-যান থেকে চাঁদা উঠিয়ে নিজেদের পকেট ভারী করছে। এবেপারে বিআই ডব্লিউটির উপ-পরিচালক মোবারক হোসেনের মুঠ ফোনে আলাপ কালে তিনি জানান, লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা থেকে পার্কিং চার্জের টাকা নিয়ে সিএনজি চালকদের রশিদ না দেওয়ার বিষয়টি অবগত নয়। এই বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।