শওকত আলী : চাঁদপুর লাকসাম রেলপথে ১০টি স্টেশন ভবন রিমডেলিং কাজের ৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দের পর ৩০ভাগ কাজ শেষ করেই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নিয়মবর্হিভূতভাবে ৭৫ভাগ টাকা নিয়ে গেছে। যার ফলে গত ৭মাস যাবৎ এ প্রকল্পের সকলকাজ মুখ থুবরে পড়ে রয়েছে। হাজার হাজার যাত্রী অবর্ননীয় দূর্ভোগে পড়ে প্রতিদিন যাতায়ত করছে। রেলওয়ের বিভিন্ন সূত্র ও প্রকৌশল বিভাগের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের উন্নয়নে ১শ’ ৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। তারই সাথে এ পথের যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের দিক চিন্তা করে বাংলাদেশ রেল কর্তৃপক্ষ রেলের নিজস্ব তহবিল থেকে এ পথে অবস্থিত চাঁদপুর, চাঁদপুর কোর্ট, শাহতলী, মধুরোড, বলাখাল, হাজীগঞ্জ, উয়ারুক, মেহের, শাহরাস্তি ও চিতশীসহ ১০টি স্টেশন ভবনের রিমডেলিং কাজের জন্য ৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। টেন্ডারের মাধ্যমে এ কাজের দায়িত্ব পায় ঢাকার কাশেম কনস্ট্রাশন। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান গত ২০১২ সালের ২৭ জানুয়ারী এ কাজেয় দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরু করে। গত ২০১৩ সালের ৩০ জুন কাজ শেষ করার নিয়ম বেধে দেয় চট্রগাম বিভাগীয় রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে। গত আগষ্ট মাসের মাাঝামাঝি সময়ে প্রায় ৭মাস পূর্বে কাশেম কনস্ট্রাকশন দুই তিনটি স্টেশন ভবনের রিমডেলিং এর কাজসহ সবকটি স্টেশনের ৩০ভাগ কাজ করে ৭০ভাগ কাজ বাকী রেখে এ প্রকল্পের সকল কাজ বন্ধ করে দেয়। তারা ৩০ভাগ কাজ করলেও নিয়মভর্বিভূতভাবে রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরেরর কর্মকর্তাদের সাথে গোপনে হাত মিলিয়ে সরকারের ৭৫ভাগ টাকা উত্তোলন করে প্রায় ৩৪ কোটি টাকা নিয়ে যায়। এ অনৈতিকভাবে বিল উত্তোলনকে কেন্দ্র করে রেলওয়ের সাথে সম্পৃক্ত একাধিক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিড়াজ করছে। ব্রিটিশ শাসন আমলের ২০০বছরের অধিককালে পূর্বে নির্মিত স্টেশন ভবনগুলো ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে যাবতীয় মালামাল নিয়ে গেছে। বর্তমানে রেলওয়ের ১০টি স্টেশন ভবনের সেডগুলো খুলে নিয়ে যাওয়াও প্লাটফরমে দাঁড়ালে আকাশ দেখা যায়। প্লাটফরম ভেঙ্গে এবরোথেবরো করে ফেলে রাখায় চলাচলরত হাজার হাজার যাত্রীরা প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়ছে। মাথার উপরে সেড না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই যাত্রীদের খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে ভিজতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে যাত্রীদের অভিযোগ পূর্বে স্টেশন ভবনে দাড়িয়ে ও বসে কোন রকমে সময় অতিবাহিত করা যেত। বর্তমানে এ অবস্থায় আমাদেরকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এ ব্যাপারে চট্রাগ্রাম রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী মাহবুবুল আলম জানান, কাশে কনস্ট্রাশন ৩০/৩৫ভাগ কাজ করেছে কিন্তু বিল নিয়েছে ৭৫ ভাগ। এভাবে কাজ শেষ না করে বিল নেওয়া ঠিক হয়নি। তবে আমারা তাদের কাজ থেকে শতভাগ কাজ বুঝে নেওয়ার জন্য পত্র দিয়েছি। অচিরেই অসমাপ্ত কাজ শুরু হবে।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২৫ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।