শওকত আলী, ॥
অবিরাম বৃষ্টিপাত, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া প্রচন্ড বৃষ্টিপাত ও অবিরাম টানা বর্ষনের চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের ৫৪ কিঃ মিঃ এলাকার মধ্যে লাকসাম, চিতোষী হতে হাজীগঞ্জ পর্যন্ত ২০টি স্থানে রেলপথ ঢেবে গেছে। ঝুঁকি নিয়ে এ পথে রেল ট্রেন চলাচল করছে। যার ফলে ট্রেনের গতি গত শনিবার বিকেল থেকে ঘন্টায় ৫০ মাইলের স্থলে ২০ মাইল গতি করা হয়েছে। এ পথের ট্রেনগুলো আতঙ্কের মধ্যে যাত্রী নিয়ে ধীরগতিতে যাতায়াত করে যাচ্ছে। এ পথের দায়িত্ব থাকা কর্মকর্তা এসএসএই/পথ মোঃ লিয়াকত আলী লাকসাম-চাঁদপুরের মধ্যে ৪০ মাইল এলাকার ঢেবে যাওয়া স্থান মোটর ট্রলি দিয়ে পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার। এ সত্যতা স্বীকার করেছেন এ পথের দায়িত্ব থাকা কর্মকর্তা ও মেরামত কাজে নিয়োজিত হ্যাড চাবিওয়ালা হাবিবুর রহমান। এ ব্যাপারে রেলওয়ে উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের বরাবর তারবার্তা প্রেরণ করেছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের ৫৪ কিঃ মিঃ এলকায় ১শ ৭৭ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলছে। এ উন্নয়ন কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে রয়েছে ভারতীয় কালিন্দী কোঃ লিঃ ও এদেশের কাশেম কনস্ট্রাকশন। তারা এ পথের ৫৮টি ব্রিজের কাজ নতুন করে ব্রিজ ভেঙ্গে করে যাচ্ছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে হঠাৎ করে একাজ বন্ধ হযে যায়। বর্তমানে প্রচন্ড বৃষ্টিপাত ও ভারী বর্ষনের ফলে রেলপথের দু’পাশে ও ব্রিজের কাজ করার স্থানে বৃষ্টির পানি জমে রেলপথের লাকসাম, চিতোষী, শাহরাস্তি, মেহের, হাজীগঞ্জ এলাকার মধ্যবধি স্থানের বিভিন্ন ব্রিজের গোরায় কমপক্ষে ২০টি স্থানে হঠাৎ করে গতকাল শনিবার থেকে হঠাৎ হঠাৎ ঢেবে যাচ্ছে। তাৎক্ষণিক এ পথে দায়িত্ব থাকা কর্মকর্তা বিভিন্ন গ্যাং থেকে রেলকর্মীদের এনের এদের দ্বারা ক্ষতি গ্রস্থ স্থান মেরামত করে রেল চলাচলের উপযোগি করে যাচ্ছেন। এ ছাড়া ওই কর্মকর্তা প্রায় ৪০ মাইল এলাকা মোটর ট্রলির মাধ্যমে তার দপ্তরের লোকজনসহ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত স্থান মেরামতের জন্য লোকবল নিয়োজিত করেন এবং এ পথের ট্রেনের গতি ৫০ মাইলের স্থলে ২০ মাইল গতিতে ট্রেন চলাচলের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। মেরামত কাজে নিয়োজিত হ্যাড চাবিওয়ালা হাবিবুর রহমান জানান, আমরা তাৎক্ষণিক ক্ষতি গ্রস্থ স্থানগুলো রেললাইন ও রেল স্লিপারের মাধ্যমে প্যাকিং দিয়ে, বালির বস্তা ও কংক্রিট ফেলে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ের চট্টগ্রামস্থ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও রেলভবনের ডিজি বরাবর তারবার্তা প্রেরণ করে বর্তমান অবস্থার কথা জানানো হয়েছে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়।