চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথে যাত্রীদের প্রতিদিন যাতায়াতে নিরাপত্তা ও দুর্ঘটনা থেকে রক্ষাকল্পে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আবারও ড্রেজার পাইপ অপসারণে অভিযান চালিয়েছে রেলওয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার সকাল ১০ টা থেকে শুরু করে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত এ রুটের শাহরাস্তি থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত প্রায় ৪৫ কি. মিটারের মধ্যে ৫টি স্থানের গুরুত্বপূর্ণ ব্রীজের কাছে রেল লাইনের নিচ দিয়ে অবৈধভাবে সুড়ঙ্গ করে নেয়া ১৩টি ড্রেজিং পাইপ অপসারণ করে পাইপগুলো জব্দ করেছে যৌথ অভিযান পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন রেলওয়ে থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ উসমান গণি পাঠান। এসময় তাকে সহযোগিতা করেন চাঁদপুর লাকসাম রেলপথের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মোঃ লিয়াকত আলী মজুমদার ও চাঁদপুর রেলওয়ে নিরাপত্তা ইনচার্জ আমিনুল হক ও সঙ্গীয় ফোর্স। অপসারণকৃত পাইপ জব্দ করে চাঁদপুর জিআরপি থানায় নিয়ে আসা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন জিআরপি থানার ওসি উচমান গণি পাঠান। চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের ৫৪ কি. মিটারের মধ্যে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা দীর্ঘ দিন যাবৎ রেল লাইনের নিচ দিয়ে সুরঙ্গ করে ড্রেজার পাইপ প্রবেশ করিয়ে অবৈধভাবে ব্যবসা করে যাচ্ছিল। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে একাধিক মামলা ও বাধা প্রদান করলেও ড্রেজার ব্যবসায়ীরা সরকার দলীয় প্রভাব দেখিয়ে তাদের এ কার্যক্রম চালিয়ে যায়। এতে করে রেলপথ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে এবং যাত্রীরা মারাত্মক নিরাপত্তা হিনতায় ও ট্রেন দুর্ঘটনার আশঙ্কার মধ্যে যাতায়াত করছিল। গত বুধবার ২ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথে রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অভিযান চালিয়ে শতাধিক পাইপ অপসারণ করে। এসময় মৈশাদী এলাকার ৫২ ও ৫৪নং ব্রীজ সংলগ্ন স্থানে ও শহরতলীর বিশ্বরোড এলাকায় কয়েকটি পাইপ থেকে যায়। অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে পুনরায় রেলপথ সুরঙ্গ করে আবারও অপসারণকৃত স্থানে ড্রেজার পাইপ স্থাপন করে তাদের অবৈধ বালু ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল। পুনরায় গতকাল মঙ্গলবার যৌথ অভিযান চালিয়ে এসব পাইপগুলো অপসারণ ও জব্দ করা হয়। বর্তমানে চাঁদপুর লাকসাম রেলপথ ঝুঁকি থেকে মুক্ত হওয়ায় যাত্রীরা নিরাপদে যাতায়াত করতে পারবে। অবৈধ ড্রেজার পাইপ রেলপথ সুরঙ্গ করে প্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে রেলওয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। জব্দকৃত পাইপগুলো রেলওয়ে থানায় রয়েছে। এ ব্যাপারে রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ উসমান গণি পাঠান জানান, এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জব্দকৃত পাইপের মালিকদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক মামলা করা হবে। চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা লিয়াকত আলী মজুমদার বলেন, রেলপথ সুরঙ্গ করে ড্রেজার পাইপ প্রবেশ করা থেকে রেলপথ মুক্ত করা হয়েছে। আগামীতে এ পথে এ ধরনের অবৈধ ড্রেজার স্থাপন করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে নির্দেশক্রমে। তবে এ পথ ঝুঁকিমুক্ত রাখতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
শওকত আলী, চাঁদপুর।
৮-৯-১৫