ফাহিম শাহরিন কৌশিক খান
চাঁদপুর-শরিয়তপুর ফেরি ঘাটে ফেরি স্বল্পতার কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মালবাহী ট্রাক, যাত্রীবাহী বাসসহ গরু বোঝাই ট্রাক ব্যাপক হারে আসা-যাওয়া শুরু করেছে। চাঁদপুর-শরিয়তপুর ফেরিঘাটে ছোট আকৃতির মাত্র দু’টি ফেরি রয়েছে। এ দু’টি ফেরি দিয়ে অল্প সংখ্যক যানবাহন পারাপারের কারণে প্রতিদিন শতশত মালবাহী ট্রাক নদীর দু’পারে আটকা পড়ছে।
সরজমিনে গতকাল মঙ্গলবার চাঁদপুর হরিণা ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ফেরিঘাটে যানবাহন চলাচলের জন্য ৩টি ফেরি দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে কামিনি ও কস্তুরি চলমান রয়েছে এবং কিশোরী ফেরি দীর্ঘদিন ধরে বিকল হয়ে নদীর পাড়ে রয়েছে। সচল দু’টি ফেরি মাত্র ৮টি বাস ট্রাক নিয়ে যাতায়াত করছে। এছাড়া নদীতে ডুবোচর থাকার কারণে আধাঘন্টার সময়ের জায়গায় দেড় ঘন্টা পারা পারের সময় লাগছে। অন্যদিকে বাস ও ট্রাক বোঝাই করে যেই ফেরিঘাটে এসে পৌছে সেগুলো লোড আন লোড করতেও প্রায় ১ঘন্টা সময় লাগছে। কারণ যেই দু’টি ফেরি চলাচল করছে তার আকৃতি ছোট হওয়ায় বাস ট্রাক উঠতে ও নামতে চালকদের সমস্যার মধ্যে পরতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে ফেরি স্বল্পতার কারণেই যানবাহন চলাচলের ব্যাপক হারে বিঘœ ঘটছে।
হরিণা ফেরিঘাটের ইজারাদার জানায়, ঈদুল আযহা উপলক্ষে যেভাবে মাল বোঝাই গাড়ি যাতায়াত করছে শুধু মাত্র ফেরি স্বল্পতার কারণেই তাদের নদী পারাপার হতে সময় বেশি লাগছে। এ ঘাটে ৩টি ফেরির মধ্যে একটি দীর্ঘ দিন যাবত বিকল হয়ে পরে থাকায় অন্য দু’টি ফেরি কিছুদিন পরপর নষ্ট হয়ে যাওয়ায় যাত্রিদের দূর্ভোগ দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। চাঁদপুরের নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান ও বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান এসে হরিণা ফেরিঘাট পরিদর্শন করে কল্মিলতা নামের বৃহদ আকারের একটি ফেরি দিয়েছিলেন। কিন্তু মাত্র ১ সপ্তাহ যেতে না যেতেই অদৃশ্য শক্তির কারণে তা হরিণা থেকে কর্তৃপক্ষ নিয়ে যায়। এ কারণে ব্যাপক হারে গাড়ি আসলেও তা পারা পার হতে না পারায়, ট্রাক চালক ও যাত্রীদের যেভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অপরদিকে ইজারাদাররা বহু টাকা দিয়ে ডাক এনে লোকসান গুনছে। এবেপারে বিআই ডব্লিউটিসির চাঁদপুর-শরিয়তপুর ফেরিঘাটের ইনচার্জ ইমরান খান জানায়, ঈদ উপলক্ষে যেভাবে মালবাহী ট্রাক আসছে আপাতত ফেরি স্বল্পতায় কিছুটা দূর্ভোগ হলেও পরবর্তিতে তা হবে না। কারণ সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী ঈদের আগে ও পরে মোট ৭দিন ভারী যান ও মালবাহী ট্র্রাক চলাচল করতে পারবেনা। তাই ফেরি স্বল্পতার কারণেও তেমন কোনো প্রভাব পরবেনা। দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২৫টি জেলার ট্রাক বোঝাই মালামাল ও যাত্রীরা একমাত্র এই চাঁদপুর-শরিয়তপুর ফেরিঘাট হয়ে চট্টগ্রাম আসা-যাওয়া করছে। মূলত তাদের দাবি এ ফেরিঘাটে বড় আকৃতির একটি ফেরি দেয়া। তাহলে অনেকাংশেই দূর্ভোগ কমে যাবে।
শিরোনাম:
সোমবার , ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৫ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
চাঁদপুর নিউজ সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।