শাহরিয়ার খাঁন কৌশিক ॥ চাঁদপুর-শরীয়তপুর রূটের ফেরিঘাট এখনো ইজারাদারের নিয়ন্ত্রণেই থেকে যানবাহন থেকে চলছে বেপরোয়া চাঁদা আদায়। চাঁদপুর-শরীয়তপুর রূটের ফেরিঘাটে ১ জুলাই থেকে নির্ধারিত হারে টোল আদায় করবে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ মন্ত্রণালয় এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ফেরিঘাট ইজারা প্রদান কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু উচ্চ আদালতের আদেশে উক্ত ফেরিঘাটে ১ জুলাই থেকে কর্তৃপক্ষ আপাতত কার্যক্রম চালাতে পারছে না। ১ জানুয়ারি থেকে টানা অবরোধ-হরতাল এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ইজারাদার তাদের আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে মহামান্য হাইকোর্টে রীট আবেদন করেন। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরিঘাটে কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম (টোল আদায়) না চালানোর জন্য ৬ মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। এ খবর নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুর-এর উপ-পরিচালক মোঃ মোবারক হোসেন এবং বিআইডব্লিউটিসির হরিণা ফেরিঘাট ম্যানেজার ইমরান হোসেন।
মোবারক হোসেন জানান, ৬ মাসের স্থগিতাদেশ দেয়া হলেও ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ সংস্থার পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে রীট করবে। যুক্তিসঙ্গত কারণে ইজারাদার এক মাসের জন্যে আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ঘাট পাবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষে উচ্চ আদালতের আদেশ আসবে। সে সময় ফেরিঘাট সংস্থা চালাবে। বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুর-এর উপ-পরিচালক আরো জানান, ছোট গাড়ি থেকে ২০ টাকা বড় গাড়ি থেকে ৪০ থেকে ৫৫ টাকা টোল আদায় করবে ইজারাদার। কিন্তু সরজমিনে দেখা যায়, চাঁদপুরের হরিণা ও শরীয়তপুরের নরসিংহপুর ফেরিঘাট ইজারাদার গাড়ি প্রতি ৫শ’ টাকা থেকে শুরু করে দেড়/দুই হাজার এবং দুই/তিনহাজার টাকা করে আদায় করছে। বিআইডব্লিউটিসি যেখানে ফেরিতে উঠার গাড়ির সিরিয়াল নির্ণয় করবে। সেখানে ইজারাদার গাড়ি সিরিয়াল দিচ্ছে এবং যানবাহনকে জিম্মি করে জোরপূর্বক তাদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা আদায় করছে। এ কারণে ১০/১২ লাখ টাকার ফেরিঘাট এক লাফে ৪২ লাখ টাকা থেকে অর্ধকোটি টাকায় উঠেছে। এ টাকা আদায় করার জন্য ফেরিঘাটের দুই পাড়ে গড়ে তোলা হয়েছে চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট এবং সন্ত্রাসী বাহিনী। সম্প্রতি চাঁদপুর হরিণা ঘাটে চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শরীয়তপুর ঘাট জিতু বেপারী এবং চাঁদপুর হরিণা ঘাটে টিটু গাজী ফেরিঘাট ইজারা নিয়ে সেখানে বেপরোয়া চাঁদাবাজি করছে বলে এ রূটে আসা যানবাহন চালক ও যাত্রী সাধারণে অভিযোগ। দুই পাড়ে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনেরও প্রস্তাব করেছেন দুই জেলার প্রশাসন।
