চাঁদপুর: চাঁদপুর শরীয়তপুরের মেঘনা পদ্মার বিস্তৃর্ণ এলাকা
জুড়ে চলছে জলকরের নামে চাঁদাবাজি। এতে চাঁদপুর শরীয়তপুর, বরিশাল, ভোলা, পাতার হাট, খুলনা, হরিনাথপুর, টেকের হাট, পাতার হাট, হিজলাসহ কয়েকটি অঞ্চলের মাঝি মাল্লা ও কর্তৃপ বিপাকে রয়েছে। প্রতি বছর বৈশাখ মাস এলেই মাঝি মাল্লারা বাৎসরিক ও মাসিক চাঁদা দিয়ে থাকে। নিয়মিত চাঁদপুরের পুরাণবাজার-নতুনবাজার বানিজ্য কেন্দ্রে মাল পরিবহনের কাজে আসলেও এসব মালবাহী নৌকা গুলো জলকরের নামে চাঁদা দিয়ে থাকে। আর চাঁদা না দিলে মালবাহী ট্রলারে ডাকাতির ভয় দেখানো হয়। কিন্তু কয়েক বছর যাবৎ চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন চাঁদপুরের ঐতিহ্যবাহী বানিজ্য টিকিয়ে রাখতে চাঁদপুর-শরীয়তপুরের মেঘনা পদ্মার নৌ স্থলে কোনো প্রকার চাঁদা নিষিদ্ধ করা এবং জলকরের নামে কুপ্রথা বাতিল ঘোষনা করেন। কিন্তু থেমে নেই বেনামী ইজারাদার।
ইজারাদারের সাঙ্গপাঙ্গরা নদীর মধ্যবর্তী স্থানে ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে বেশ দাপটের সাথে অবৈধভাবে চাঁদা তুলে নৌযান কর্তৃপ হয়রানীর শিকারে ফেলছে। যারা চাঁদা দিচ্ছে তারা অনেক সময় ভয়ে তাদের নাম বলছেনা। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, চলতি সময়ে বৈশাখ থেকে চৈত্র মাস সরকারীভাবে ইজারা নেয়া হয়েছে বলে অবৈধ ইজারাদার বিভিন্ন অঞ্চলের মাঝি মাল্লাদের কাছ থেকে বাৎসরিক ইজারা তুলে নিচ্ছে বিনা রসিদে। ট্রলার মাঝিরা ইজারা প্রথা চালু নেই এমন প্রশ্ন করা হলে অবৈধ ইজারাদাররা তাদের বিভিন্নভাবে প্ররোচনা করে থাকে। বিশেষ করে শরীয়তপুর অঞ্চলের ভেদরগঞ্জ, ভোজেশ্বর, মোল্লারহাট, মাইঝারা, ঈশানবালা, গোসাইরহাট, হিজলা, পট্রি, ডিএমখালী, খাসমহলবাজারসহ শরীয়তপুর অঞ্চলের কয়েকটি থানা ইউনিয়নের চলমান ট্রলার কর্তৃপরা অবৈধ ইজারাদারের কবলে পড়ছে। সুত্রে জানা যায়, চাঁদপুরের ঐতিহ্যবাহী ব্যবসা প্রসিদ্ধস্থানখ্যাত পুরাণবাজারের সাথে এখনো কয়েকটি জেলা উপজেলার সাথে ব্যবসা বানিজ্য প্রসারিত হয়ে ওঠছে। ঢাকা কিংবা নারায়নগঞ্জের সাথে তাল মিলিয়ে চাঁদপুরের ব্যবসায়ীরা পাইকারী ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। চরাঞ্চলের উপর নির্ভরশীল চাঁদপুর ব্যবসায়ীরা।
অথচ চাঁদপুরে দৈনন্দিন মালবাহী ট্রলার আসা যাওয়া কম হলেই ব্যবসা বানিজ্যে মন্দাভাব প্রকাশ পায়। চলতি ১৪২০ সালের বৈশাখ মাস থেকে আলুরবাজার, ঈদগাহ ও চরজালালপুরের কয়েকটি স্থানে অবৈধ ইজারাদার রয়েছে। এরা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা মালবাহী ট্রলার দেখলেই ছুটে আসে চাঁদা আদায় করতে। জনৈক ট্রলার মাঝি এ প্রতিনিধিকে জানান, বর্তমান সময়ে জলকরের নামে কোনো ইজারা নেই। কিন্তু ডাকাতি, দস্যুতা এবং ভয়ে ইজারা প্রদান করতে বাধ্য হয় তারা। বিশেষ করে প্রতিটি ট্রলারে লাখ লাখ টাকার মাল থাকে। এসব মাল লুটপাট হয়ে গেলে তা মাঝিদেরই বহন করতে হয়। তাই সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে ট্রলার মাঝি মাল্লাদের আহবান অবৈধ ইজারাদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হউক। নচেৎ চাঁদপুরের বানিজ্য কেন্দ্র গুলোতে স্থবির দেখা দিবে।