মসজিদের জানালা বন্ধ করে, দান বাক্য ঢেকে রেখে ও মসজিদের বিদ্যুৎ দিয়ে ২৪ঘন্টা ফ্রিজ, ফ্যান, লাইট ব্যাবহারের মাধ্যমে দোকানদারী করায় মসজিদে আলো-বাতাস প্রবেশ করতে পারছেনা। বিশেষ করে মসজিদের দান বাক্যটি মালামাল দিয়ে ঢেকে রাখায় ধর্মপ্রান মুসলমানেরা মুক্ত হস্তে সাহায্য করতে বাধা গ্রস্ত হচেছ বলে মুসল্লিরা অভিযোগ করে জানান। এ ছাড়া মসজিদের সামনে ডাব বিক্রি করায় রোগী,মসজিদের মুসল্লি ও পথচারীরা চলাচলে বাদাগ্রস্ত হচেছ। এ দোকানটি চাঁদপুরের পুলিশ সুপার শহর পরিদর্শনকালে রাস্তার উপর দোকানটি উঠিয়ে ফেলতে বললে ও সে নিদের্শনা মানা হচেছনা। যে কোন সময় এখানে এখানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্বাবনা বিরাজ করছে। জনস্বার্থে দোকানটি উঠিয়ে রাস্তাটি চলাচলের জন্য পরিস্কার রাখার প্রয়োজনে মসজিদের ধর্মপ্রান মুসল্লিরা চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সুদৃস্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
সরোজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানাযায়,চাঁদপুর শহরের অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ন একটি স্থান হচেছ,২৫০শর্যা বিশিস্ট চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতাল। এ হাসপাতালের আশ-পাশে ১০/১২টি ঔষদের ফার্মেসী,৮/১০টি প্যাথলজি,একটি পত্রিকা অফিস ও অসংখ্য বাসা-বাড়ি রয়েছে। প্রতিদিন শত-শত ধর্মপ্রান মুসলমান এ এলাকার একমাত্র মসজিদ কালেক্টরেট মসজিদে নামাজ আদায় করে থাকে। এ ছাড়া হাসপতালে,প্যাথলজিতে ও ফার্মেসী গুলোতে প্রতিদিন অসংখ্য ভাসমান মানুষের আভিভাব ঘটে। তারা এমসজিদে পাঁচওয়াক্ত নামাজ আদায় করে থাকে।বর্তমানে এখন রমজান মাস উপলক্ষে ধর্মপ্রান মুসলমানদের সমাগম বেশী হচেছ। এসব মুসলমানদের প্রচন্ড গরম থেকে বাঁচতে আলো-বাতাসের প্রয়োজন একান্ত হয়ে পড়ছে। এ কালেক্টরেট মসজিদের জানালা বন্ধ করে এখানে জনৈক টেলু মিয়া দোকান বসিয়ে রাখায় মসজিদের আলো-বাতাস প্রবেশ করতে পারছেনা। যার ফলে এ রমজান মাসে প্রচন্ড গরমে মুসল্লিদের মারাত্বক দুর্ভোগ পৌহাতে হচেছ। হঠাৎ হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে মুসল্লিরা জানালা খুলতে না পারায় গরমে সটফট করতে দেখা যায়। জানালা খোলা থাকলে বাহিরের আলো-বাতাসে মুসল্লিরা নামাজ পড়ার পরিবেশ পেতও শাস্তিতে নামাজ আদায় করতে পারতো বলে মুসল্লিরা জানান। এ ছাড়া এখানে মসজিদে মুক্ত হস্তে দান করার যে বাক্যটি রয়েছে,তাও মালা মাল দিয়ে ঢেকে রাখায় মুসল্লিরা ও পথচারীরা দান করতে পারতেছেনা। যার ফলে মসজিদের নিত্যদিনের খরচের যে পরিমান অর্থ প্রয়োজন তা”থেকে মসজিদ বঞ্চিত হচেছ। অনেক ধর্মপ্রান মুসল্লি দোকান ও দোকানের মালা মালের জন্য মসজিদ দেখতে না পেরে নামাজ আদায় করা থেকে বঞ্চিত হতে হয়। এ ছাড়া দোকাটি পথ চারিদের চলাচলের রাস্তার উপর হওয়ায় পথচারিরা নিবিঘেœ চলাচল করতে বাধা গ্রস্ত ও বিঘœ সৃস্টি হচেছ। মসজিদের জানালার পাশে দোকানটি হওয়ায় ধূম পায়ীরা এখানে দাড়িয়ে ধূমপান করলে মসজিদে আগত মুসল্লিদের মুখে গিয়ে ধূমপানের ধোয়া গিয়ে ঢোকে মারাত্বক সমস্যার সৃস্টি হয়। সবচেয়ে বড় একটি অনিয়ম হচেছ, মসজিদের নিজস্ব বিদ্যুৎ দিয়ে টেলু মিয়ার দোকানের ফ্রিজ, ফ্যান ও লাইট ২৪ঘন্টা চলতে থাকে । মসজিদের সিড়ির নিচে জেনারেটর ও পানির ট্যাংকির সাথে মালা মাল রাখায় সেখানে ও দুর্ঘটনা ঘটার সম্বাবনা বিরাজ করছে। দোকানটি উল্লেখ যোগ্য স্থানে হওয়ায় দোকানদার বিভিন্ন মালামাল বেশী মুনাফায় ও অতিরিক্ত দামে বিক্রি করে বলে ক্রেতা ফয়সাল,রহমান,মোহাম্মদ আলী, নূরনবী ও মানিক হাওলাদার অভিযোগ করে জানান। দোকানদার টেলু মসজিদের পাশে বসে কয়েনের ব্যবসা করে থাকে। ১লক্ষ টাকার কয়েনের বিপরীতে টেলু ২০/৩০হাজার টাকা নির্ধারিত মূল্য হাতিয়ে নিচেছ। যা রিতিমত সুদ বলে আখ্যাদিয়েছেন একজন ইসলামী চিন্তাবিদ। এখানে আরো এক জন ব্যাক্তি মসজিদের পাশে গেসে চা-দোকান দিয়ে থাকেন। সে হলো মোল্লা । সে এখানে প্রতিদিন ডাব বিক্রি করে ডাবের খোসা ফেলে পথচারিদের মারাত্বক চলাচলে সমস্যা সৃস্টি করে চলছেন। এ ডাবের খোশায় আঘাত প্রাপ্ত হয়ে অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে এবং প্রতিদিন শিকার হচেছ। এ বিষয়টি জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহন করা একান্ত প্রয়োজন বলে ভুক্তভোগীরা দাবী করেন।