শাহরিয়ার খাঁন কৌশিক: চাঁদপুর শহরের নাজির পাড়া, রেলওয়ে কলোনী, বিষ্ণুদী, ব্যাংক কলোনী, রহমতপুর কলোনী, পুরাণবাজার মমিনবাগ ও শহরতলী ওয়্যারলেছ বাজারসহ প্রায় ১০ টি স্থানে ২ সহস্রাধীক পরিবারের ৫ সহস্রাধীক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানি নিষ্কাশনে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারণে ভয়াবহ জলাবদ্ধতায় এসব এলাকায় মানুষের জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে বেড়েছে নানা পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব।
গত কয়েক দফা অভিরাম টানা বৃষ্টি ও ভর্ষনের কারনে শহরের নাজিরপাড়ায়, রেলওয়ে কলোনী, বিষ্ণুদী, ব্যাংক কলোনী, রহমতপুর কলোনী, পুরাণবাজার মমিনবাগ ও শহরতলী ওয়্যারলেছ বাজারসহ প্রায় ১০ টি স্থানে বৃষ্টির পানি আটকা পড়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে এসব এলাকার হাজার হাজার মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়ায় তারা মানবতর জীবন যাপন করছে। এছাড়া পুরাণবাজারের ডাকাতিয়া নদী তীরবর্তী ৪নং ওয়ার্ডের পুরাণবাজার-নতুনবাজার সেতু সংলগ্ন এলাকাটি মমিনবাগ নামক স্থানে পানি আটকা পড়ে সেখানে প্রায় ৩শতাধিক পরিবার পানি বন্ধি হওয়ায় কষ্ট শীকার করে পানি দিয়ে যাতায়ত করে তাদের কর্মস্থলে যেতে হয়। স্কুল কলেজে পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীরা পরেছে সবচেয়ে বেশি বিপাকে। তারা শিক্ষা অর্জনের জন্য বিদ্যালয়-কলেজ ও প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে যেতে পাচ্ছে না। বিভিন্ন স্থানের শিশুরা পানি বন্ধ হয়ে আটকে পড়ায় দুরর্ঘটনার শিকার পর্যন্ত হচ্ছে।
আধুনিক সুযোগ সুবিধা তো দূরের কথা চলাচলের পাকা রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা এখন এসব এলাকার মানুষের প্রাণের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই হাঁটু পরিমাণ পানি জমে যায়। পুরাণবাজারের এসব এলাকা ডাকাতিয়া নদীর নিকটতম হলেও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার দরুণ পানি নিষ্কাশন হতে পারছে না। ফলে একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতায় ঘরবন্দী হয়ে মানবেতর মতো জীবনযাপন করছে এই এলাকার মানুষ। দীর্ঘদিন পানি জমে থাকার কারণে জন্ম নিচ্ছে মশা মাছি। এছাড়া জমে থাকা নোংরা পানির কারণে দেখা দিয়েছে ডায়রিয়া, আমাশয় ও জণ্ডিসের মতো পানিবাহিত রোগবালাই। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জানান, বর্ষার মৌসুম আসলে এই এলাকা আর বসবাসযোগ্য থাকে না। জলাবদ্ধতা যেন এই এলাকার মানুষের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায়।পুরুষরা জীবিকার তাগিদে কাজ কর্মে যেতে পারছে না। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এছাড়া দীর্ঘদিনের জমে থাকা পঁচা পানির কারণে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে আবালবৃদ্ধবণিতাসহ সব বয়সী মানুষ। বিশেষ করে শিশুদের দেখা দিয়েছে ডায়রিয়াসহ নানা পানিবাহিত রোগবালাই। এ অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে পৌর মেয়রের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।