মিজান লিটন
চাঁদপুর শহরকে ঝঞ্ঝাটমুক্ত করতে পৌর কর্তৃপক্ষ যে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছিলো তা থমকে গেছে। প্রভাবশালীদের চাপে এবং রাজনৈতিক তদবিরের কারণে অনেকটা অভিমান করে পৌর কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ অভিযান থেকে নিজেদেরকে গুটিয়ে নিয়েছে। এ কারণে শহরের ফুটপাত ও খালি জায়গা আবার অবৈধ দখলে চলে গেছে। অথচ উচ্ছেদ অভিযানের পর ক� দিন শহর বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন দেখা গিয়েছিলো। ক� দিন পর আবার সেই পূর্বের অবস্থায় চলে গেছে। শহরে এক বিশৃঙ্খল পরিবেশ বিরাজ করছে। এতে মানুষ নানাভাবে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
চাঁদপুর শহরের জনবহুল এলাকাগুলো তথা নতুনবাজার এলাকার বাণিজ্যিক এলাকা এবং পুরাণবাজারের বাণিজ্যিক এলাকায় মানুষ চলাচলের যে ফুটপাত এবং রাস্তার পাশ রয়েছে সেগুলো দীর্ঘদিন যাবৎ ভাসমান বিভিন্ন দোকানের দখলে রয়েছে। মার্কেটের সামনে যে ফুটপাত রয়েছে সেখানে হরেক রকমের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা নানা পস্রা সাজিয়ে বসে আছে। আর প্রধান সড়কগুলোর দু� পাশে কোনো খালি জায়গা পেলেই সেখানে টং দোকান উঠিয়ে সে জায়গা দখল করা হয়েছে। যত্রতত্র এভাবে ভাসমান দোকান দিয়ে শহরের পরিবেশকে চরম বিশৃঙ্খল ও ঝঞ্ঝাটপূর্ণ করে তুলেছে। আবার রাস্তার পাশে ভ্যান গাড়ি রেখে অনেকে ভাসমান দোকানদারিও করছে। এমন পরিস্থিতি শহরে যেমন যানজট লেগে থাকে তেমনি ফুটপাত এবং রাস্তার পাশ দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারতো না। এমন ঝঞ্ঝাট পরিবেশের মধ্য দিয়ে মানুষ চলাচল করতে গিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করতো।
এমন পরিস্থিতিতে শহরবাসীর ব্যাপক অভিযোগের পর পৌর কর্তৃপক্ষ অভিযানে নামে। ২-৩ দিনের অভিযানে ফুটপাতের এবং রাস্তার পাশে খালি জায়গায় অবৈধভাবে উঠা অনেক দোকান উচ্ছেদ করে পৌর কর্তৃপক্ষ। চাঁদপুর শহর অনেকটা ঝঞ্ঝাটমুক্ত হতে থাকে। মানুষ অনেকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। শহরবাসী পৌর মেয়রসহ কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানায়। এ উচ্ছেদ অভিযান যেনো অব্যাহত থাকে সে দাবি জানায় শহরবাসী। কিন্তু বিধিবাম! সেই অশুভ শক্তির হস্তক্ষেপ এখানেও এ শহরের প্রভাবশালীরা উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করতে পৌর কর্তৃপক্ষের উপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। শেষ পর্যন্ত পৌরসভা অনেকটা নিরুৎসাহিত হয়ে উচ্ছেদ অভিযান থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেয়। ফলে দেখা গেলো, শহরের অবস্থা আবার সেই আগের অবস্থায়। ফুটপাত এবং রাস্তার পাশ খালি জায়গা অবৈধ দখলে। আসছে রমজান মাসে এ অবস্থা আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। শহরবাসী জনস্বার্থে এবং এ শহরকে সুন্দর ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে আবারো উচ্ছেদ অভিযান শুরু করতে পৌর মেয়রের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে। আর প্রভাবশালীদের জনস্বার্থের বিরুদ্ধে না যেতে শহরবাসী অনুরোধ জানিয়েছে।