প্রতিনিধি=
চাঁদপুর শহরের মমিন পাড়ার শরীফ মুন্সীর স্ত্রী গৃহবঁধূ হাজেরা বেগমের মৃত্যুর ঘটনায় ৭ জনের বিরুদ্ধে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত শুক্রবার রাতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন গৃহবঁধূ হাজেরাকে নির্যাতন করে হত্যা করে চাঁদপুর শহরের সেন্ট্রাল হাসপাতালে এনে ভর্তি করায়। মৃত্যুর ঘটনায় তারা আত্মীয়স্বজন ক্ষুব্ধ হয়ে হাসপাতাল ভাংচুর করে। গতকাল শনিবার হাজেরা বেগমের মা পারভীন বেগম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ সংশোধিত ২০০৩-এর ১১ (ক) ৩০ যৌতুক দাবিতে স্ত্রীকে হত্যা সহ উক্ত কাজে সহযোগিতা করার অপরাধে ৭জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, গত আড়াই মাস পূর্বে পীর বাদশা মিয়া রোডের ফজলুল হক মুন্সীর ছেলে শরীফ মুন্সীর সাথে হাজেরা বেগমের শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। বিবাহের সময় তাকে স্বর্ণালঙ্কার টাকা-পয়সা নগদ অর্থসহ বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর শরীফ মুন্সী তার বিপণীবাগ শরীফ মেটাল দোকানের জন্য শ্বশুরবাড়ির কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। এ নিয়ে হাজেরা বেগমের সাথে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিভিন্ন সময় চাপ প্রয়োগ করে। ঘটনার দিন রাতে তার স্বামী ও শ্বশুর শাশুড়ি দেবরসহ একত্রে তাকে গলায় চেপে ধরে হত্যা করে হাসপাতালে নিয়ে এসে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শরীফ মুন্সী, সোহাগ মুন্সী, হাবিব মুন্সী, আরিফ মুন্সী, ফজলুল হক মুন্সী, মনোয়ারা বেগম, আয়েশা বেগমকে বিবাদী করে চাঁদপ্রু মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং ১৭। তারিখ ১৪/১২/২০১৩। গৃহবঁধূ হত্যার ঘটনায় শহরে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ঘটনার পর থেকে হাজেরা বেগমের শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়ি ছেড়ে গাঢাকা দেয়। মডেল থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়। এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে হাজেরা বেগমের লাশ মডেল থানা পুলিশ তার আত্মীয়স্বজনের কাছে হস্তান্তর করে। তার লাশ জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করে।
শিরোনাম:
সোমবার , ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৫ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।