ডাঃ আহসান জেল হাজতে গেলেও স্ত্রীর প্রেমিককে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ
নিজস্ব প্রতিনিধি-
চাঁদপুর শহরের বহুল আলোচিত চিকিৎসক দম্পতি ডাঃ আহসান ও ডাঃ সীমা আহসানের পরকীয়া প্রেম কাহিনী এখন মানুষের মুখে মুখে। তবে স্ত্রীর পরকীয়ার জের হিসেবে সর্বশেষ ঘটে যাওয়া ঘটনায় শুধু এক পৰের উপর আইনের প্রয়োগ হওয়ায় সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ। যাকে নিয়ে এতো কিছু সেই ‘পেস্ন বয়’ ডাঃ সীমা আহসানের পরকীয়া প্রেমিক আব্দুলস্নাহ আল কাফী ওরফে পাহাড়ীকে পুলিশ আটক করার পরও গভীর রাতে ছেড়ে দেয়ায় আইনের শাসন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। অথচ সে ডাঃ আহসানের মামলার দ্বিতীয় আসামী। পুলিশ অবশ্য উপরের চাপে তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।
তিন সনত্দানের জননী ডাঃ মাকছুদা আকতার ওরফে সীমা চাঁদপুর শহরের করিম পাটওয়ারী বাড়ি এলাকার যুবক আব্দুলস্নাহ আল কাফী ওরফে পাহাড়ীর সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। তাদের এ প্রেম কাহিনী তালতলা এলাকাসহ শহরময় জানাজানি হয়ে যায়। পাহাড়ী এর আগে একাধিক বিবাহ করে। সীমা-পাহাড়ীর পরকীয়া প্রেম ডাঃ দম্পতির পারিবারিক কলহ তীব্র থেকে তীব্রতর হয়। শেষ পর্যনত্দ এটি মারামারির দিকে গড়ায়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মারামারি এবং প্রেমিক পাহাড়ীর হামলায় আহত হয়ে ডাঃ আহসান ও ডাঃ সীমা আহসান চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। গত ৪ অক্টোবর শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী উভয়ে উভয়ের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা করে। ডাঃ আহসানের মামলায় প্রথম আসামী তার স্ত্রী আর দ্বিতীয় আসামী স্ত্রীর প্রেমিক পাহাড়ী। আর ডাঃ সীমার মামলায় আসামী শুধু তার স্বামীই। পুলিশ উভয়ের মামলা আমলে নিয়ে গত রোববার প্রথমে ডাঃ আহসানকে আটক করে, পরে কয়েক ঘণ্টার মাথায় পাহাড়ীকেও আটক করে। এ দিকে ডাঃ আহসানকে ওই দিনই আদালতে হাজির করে জেল হাজতে পাঠালেও পাহাড়ীকে আর ওই দিন আদালতে পাঠানো হয়নি। তাকে থানায়ই রেখে দেয়া হয়। এর ফলে উপর্যুপরি চাপের কারণে রাতেই পাহাড়ীকে ছেড়ে দিতে হয়েছে। আর ডাঃ সীমা মামলার আসামী হয়েও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। আইনের এ একতরফা শাসনে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ। আর অপরাধীকে আটকের পর থানা থেকে ছাড়িয়ে নেয়ায় এর মারাত্মক বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন সচেতন মহল। কারণ, অপরাধী তখন শেল্টার পেয়ে আরো বিপুল উৎসাহে অপরাধের মাত্রা বাড়িয়ে দিবে।