প্রতিনিধি
শুরু হয়ে গেছে শারদীয় দুর্গা পূজা। ক’ দিন পরেই কোরবানির ঈদ। হিন্দু-মুসলমান সবাই ব্যস্ত পূজা ও ঈদকে ঘিরে। কর্ম চঞ্চল হয়ে উঠেছে গোটা চাঁদপুর। শহরে, উপজেলা সদরে, গ্রামের হাট-বাজারে কেনাকাটার ভিড় বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে চাঁদপুর শহরের যানজট এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাট। শহরের ব্যস্ততম প্রতিটি সড়কে যানজট লেগেই আছে। যানজট যেনো স্থায়ী রূপ নিয়েছে। এমন মন্তব্য শহরবাসীর।
জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষের নিরাপদ যাতায়াত এবং ঈদ-পূজা নির্বিঘ্ন করার জন্য আগাম প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়েন রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিয়মিত ট্রাফিক টহলও চলছে। তবুও শহরের রাস্তাগুলো যানবাহনের ভার সইতে পারছে না। অনেকে বলছেন মানুষের চেয়ে এখন গাড়ির সংখ্যা বেশি। রাস্তা বাড়েনি। কলেজ রোড, বিপণীবাগ বাজার, তালতলা ইলিশ চত্বর, বাস স্ট্যান্ড, চক্ষু হাসপাতাল, চেয়ারম্যানঘাট, আদালত প্রাঙ্গণ, ষোলঘর এমনকি পুরাণবাজার লোহারপুল, রয়েজ রোড সড়কে গাড়ি চললেও সামনে অগ্রসর হয় ধীরগতিতে। কারণ যানজট। পথচারী ও যাত্রী সাধারণকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। জনসাধারণের দুর্ভোগের মাত্রা আরো কমাতে পৌর কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের যানজট নিরসনে তাদের নেয়া প্রদক্ষেপ কোনো কাজে আসছে না। পালবাজার ব্রিজের গোড়া, কুমিল্লা সড়ক, জেএন সেনগুপ্ত রোড, কালীবাড়ি, শপথ চত্বর, হকার্স মার্কেট সম্মুখ, লেকের পাড়, মাতৃপীঠ স্কুল মোড়, মিশন রোড, নতুনবাজার, স্টেডিয়াম সড়ক, কুমিল্লা রোড, চিত্রলেখা মোড়ে যানজট লেগেই থাকে। এর মাঝে অসহনীয়ভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট। ঘণ্টায় বেশ ক’বার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর আবার আসছে। শহরের সমাজ সচেতন অনেকে জানায়, যানজট দীর্ঘস্থায়ী হবার পেছনে অবৈধ যানবাহন চলাচলকে দায়ী করছেন তারা। প্রশাসন অবৈধ যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করলে যানজট কিছুটা হলেও কমে আসবে। বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চাপের মধ্যেও মোটর সাইকেলের দৌরাত্ম্য অনেক বেড়ে গেছে। যার মধ্যে নাম্বারবিহীন ও ত্রুটিযুক্ত মোটর সাইকেলের সংখ্যা বেশি। দাপটের সাথে এসব এখন চলছে।
বিদ্যুৎ বিভ্রাটে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার পূজা ও ঈদ কেন্দ্রিক দোকানী এবং ক্রেতা সাধারণ। সন্ধ্যার পর একাধিবার বিদ্যুৎ চলে যাবার ঘটনায় রাস্তায় বের হওয়া নারীরা তাদের পরিবারের সন্তানদের নিয়ে পড়েন বিপাকে। অসহ্য গরমে সবাই হাঁপিয়ে উঠছেন। বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিপণন বিভাগ চাঁদপুর এর নির্বাহী প্রকৌশলী রূপক মজুমদার জানান, গতকাল সোমবার তারা ২০ মেগাওয়াটের স্থলে জাতীয় গ্রীড থেকে বিদ্যুতের লোড পেয়েছেন ১৩ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ সরবরাহ সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য চাঁদপুরের বিদ্যুৎ সমস্যা তাদের চীফ ইঞ্জিনিয়ারকে অবহিত করেছেন। পূজা ও ঈদকে সামনে রেখে শহরের যানজট এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাট সহনীয় পর্যায়ে থাকবে এমনটাই আশা করছেন ভুক্তভোগী শহরবাসী।